×

খেলা

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কুশলকে থামালেন তাইজুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ১১:২৭ এএম

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কুশলকে থামালেন তাইজুল

চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিন কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করে সতির্থদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রাম টেস্টে বৃহস্পতিবার (১৯মে) পঞ্চম দিন লঙ্কানদের ৮টি উইকেট দ্রুত শিকার করার লক্ষ্যে মাঠে নামেন সাকিব-তাইজুলরা। কারণ চট্টগ্রামে এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা বেশি সুবিধা পায়। এতে সফলতার মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পর কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তাইজুল। ফলে ৪৮ রান তুলে ড্রেসিং রুমে ফিরেন কুশল।

বৃহস্পতিবার ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। তাছাড়া ইতোমধ্যে সফরকারীরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দিনের শুরুতেই লিড নিয়েছে। প্রথম ২৩ মিনিটেই বাংলাদেশের ৬৮ রানের লিড টপকে যায় শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম দিন প্রথম ওভার থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন কুশল। তিনি তাইজুলের চতুর্থ বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠায়। এক বল ডট দিয়ে হাঁকিয়েছেন চার। তিনি ব্যাট হাতে ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করেন। কিন্তু তাইজুল তাকে থামিয়ে দিলেন।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১ ওভারে ১০৬ রান তুলে লঙ্কানরা। তারা এখন ৩৮ রান লিড পেয়েছে। এছাড়া বুধবার (১৮ মে) নিজদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ফলে ৬৮ রান লিড পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর নিজদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭.১ বলে ৩৯ রান তুলে সফরকারীরা।

এর আগে বুধবার দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালই করেন দিমুথ করুনারত্নে-ওশাদা ফার্নান্দো। তবে দলীয় ৩৬ রানে তাইজুল ইসলাম দুদান্ত থ্রো করে রান আউট করেন ফার্নান্দোকে। তিনি ৩৬ বলে ১৯ রান করেন। এরপর দলীয় ৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ১৭ ওভারে প্রথম বলে লাসিথ এম্বুলডিয়ানকে বোল্ড করেন তাইজুল। এরপরই শেষ হয় চতুর্থ দিনের খেলা।

এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বোলারদের পাত্তাই দেয়নি মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ দিন সাদা পোশাকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে নিজের নাম তুলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এমনকি টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন তিনি। মুশফিক ২৭১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ১০২ রান করেন। ব্যাট হাতে নিন্দুকদের মোক্ষম জবাব দিল মুশফিক। সম্প্রতি তার ব্যাটিং নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় বেশ গুঞ্জন চলছিল। অনেকে বলেছেন, মিস্টার ডিপেন্ডেবল ব্যাটিং ভুলে গেছে। আবার অনেকে বলেছেন, তিনি ব্যাটিং ভুলে গেছে। যাইহোক গুরুত্বপূর্ন সময় নিজের জাত চেনাতে ভুল করেনি মুশফিক। তিনি সমালোচনাকারীদের জবাব আগেই দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। মুশফিকের এই অপেক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই টেস্টের এক ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করতে সক্ষম হন মুশফিক। এরপর বাকি তিন ইনিংসে কিছু করতে পারেননি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। অবশেষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রমাণ করে দিলেন মুশফিক ফুরিয়ে যায়নি। তাছাড়া এর আগে ২০১৩ সালে সাদা পোশাকে প্রথম ডাবল সঞ্চেুরির কৃতত্বিও গড়েছেন মুশফিক। সেসময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান করছেলিনে। এরপর ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর ২১৯ রানে অপরাজতি ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যা টেস্টে এখনও বাংলাদশেরে ব্যক্তিগত সবোর্চ্চ রান। এরপর ২০২০ সালে মিপুরে ২০৩ রানের অপরাজতি ইনংিস খেলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকই এক মাত্র তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। এছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টে তামিমের সুযোগ ছিল বাকি ১৯ রান করে ৫ হাজার ক্লাবের সদস্য হয়ে যাওয়ার। কিন্তু তিনি মাঠে নেমে এই রান করতে ব্যর্থ হন। ফলে আক্ষেপে পুড়ছেন তামিম। চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। তিনি সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে ছিলেন। ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি মিস করেন লিটন। পরের বলেই বোল্ড হন তামিম।

এদিকে সাদা পোশাকে তামিমই সুযোগটা করে দিলেন মুশফিককে। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ৫ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তামিম ১৫২ রান দূরে থেকে ইনিংস শুরু করেন। কিন্তু তিনি রিটায়ার্ড হার্ট না হলে সবার আগে ৫ হাজার রান পূর্ণ করতে পারতেন। কিন্তু কব্জির চোট আক্ষেপে পোড়ল তামিমকে। সুযোগটা করে দিলেন। ৬৮ রান দূরে থেকে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তিনি বুধবার ৫৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন। ১৫ রান দূরে থাকা মুশফিক দেখে শুনে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে অভিজাত ৫ হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এই রান পূর্ন হবার পর মুশফিককে ড্রেসিং রুম থেকে অভিন্দন জানান টাইগার ওপেনার তামিম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App