×

জাতীয়

শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা হবে না: ব্যারিস্টার তাপস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা হবে না: ব্যারিস্টার তাপস

বুধবার রাজধানীর শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

আগামী বছর থেকে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফলজে নূর তাপস।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে পিডিবি পাওয়ার হাউস সংলগ্ন শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের ঈগলু পয়েন্ট এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে কি পরিমাণ জলাবদ্ধতা ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ১৩৬ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আমরা এই কর্মযজ্ঞ নিয়েছি। সংস্কারের কাজ আরম্ভ করেছি। তারই অগ্রগতি পরিদর্শনে আমরা আজকে এখানে এসেছি।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শিল্প কলকারখানার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করব, যাতে করে তারা নিশ্চিত করে, এখানে শুধু স্বচ্ছ পানি যেন আসে। কোন রকম কলকারখানার পয়োঃবর্জ্য, কলকারখানার দূষিত পানি পানি যেন এই নর্দমায় না দেয়া হয়। কারণ, এটা দিলে বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়।

সুতরাং আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে অনুরোধ করব, যাতে করে আমরা অবকাঠামো যেটা নির্মাণ করেছি সেটাকে যেন কোনোভাবেই অপব্যবহার করা না হয়। এ রকম যদি হয় তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো এবং সে সকল কলকারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হব। আমরা বসে থাকব না।

অতিবৃষ্টি হলেও ঢাকাবাসীকে আধাঘন্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারার আশাবাদ ব্যক্ত করে তাপস বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন- এই শিল্পাঞ্চলে আমরা ২৬টি স্থানে এবং পুরো ঢাকাব্যাপী একশ'র ঊর্ধ্বে স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানেও নিজস্ব অর্থায়নে এ রকম বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি।

এবার আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল ঢাকাবাসী পাবে। এছাড়াও, আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ রয়েছে, কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নর্দমার মুখগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে, কালভার্ট ও খাল আমরা পরিষ্কার করেছি। ভূগর্ভস্থ যে নর্দমা রয়েছে সেগুলো আমরা পরিষ্কার করেছি। আমরা আশাবাদী, অতিবৃষ্টি হলেও ঢাকাবাসীকে আধাঘন্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারব।

এ সময় দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে আকাশ কুমার ভৌমিক, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল আলম শামীম, ৭৩ ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মীর হোসেন মীরু এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App