×

জাতীয়

নৌকার মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়ন কষ্টিপাথরে যাচাই করে: কুমিল্লা আ.লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২২, ০৮:৪৬ এএম

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেছেন, ‘কষ্টিপাথরে যাচাই করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। গণমাধ্যমে রিফাতকে নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ দাবি করেন তারা।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন বলেন, আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পাওয়ার আগে মাদক নিয়ে লেখা হয়নি। মনোনয়ন পাওয়ার পর লেখা হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি তালিকা নিয়ে ২০২২ সালে প্রতিবেদন করা হয়েছে। মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের প্রার্থী এই অসত্য প্রতিবেদনের বিষয়ে মানহানির মামলা করবেন।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর জানান, ‘পঁচাত্তরের পর খন্দকার মোশতাকের কুমিল্লা টাউন হলের জনসভা ভেঙে দিয়েছিলেন আজকের মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাতসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। তখন সামরিক আদালতে তার সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। ১৯৮১ সালে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের বহিঃক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। তখন তাকে ৩৫ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।’

তিনি জানান, কুসিক প্রতিষ্ঠার পর আরফানুল হক রিফাত ২০১২ ও ২০১৭ সালে মেয়র প্রার্থী ছিলেন। দলীয় ষড়যন্ত্র ও কোন্দলের কারণে তিনি পরপর দুবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। এবার তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কষ্টিপাথরে যাচাই করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। তার মনোনয়ন পাওয়ার পর পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্তরঞ্জন ভৌমিক ও আবদুল হাই বাবলু, সদস্য হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস সহিদ, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাদেকুর রহমান পিয়াস ও মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিহানুক।

জানা গেছে, গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাদকসংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিভিন্নজন পোস্ট দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করা একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলায় মাদক চোরাকারবারি, তাদের পৃষ্ঠপোষক ও জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব (পরিচালক-১২) ফরিদ আহাম্মদ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি ১৫ পাতার তালিকাটি যুক্ত করেন। ওই তালিকায় চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার ১৬ জনের নাম ছিল। এই ১৬ জনের মধ্যে প্রথম নামটি আরফানুল হক রিফাতের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App