চট্টগ্রামে বুধবার (১৮ মে) তামিমের সুযোগ ছিল বাকি ১৯ রান করে ৫ হাজার ক্লাবের সদস্য হয়ে যাওয়ার। কিন্তু তিনি মাঠে নেমে এই রান করতে ব্যর্থ হন। ফলে আক্ষেপে পুড়ছেন তামিম। চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। তিনি সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে ছিলেন। ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। পরের বলেই বোল্ড হন তামিম।

এছাড়া সাদা পোশাকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে নিজের নাম তুলেছেন মুশফিক। তবে মজার বিষয় হলো, তামিমই সুযোগটা করে দিলেন মুশফিককে। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ৫ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তামিম ১৫২ রান দূরে থেকে ইনিংস শুরু করেন। কিন্ত তিনি রিটায়ার্ড হার্ট না হলে সবার আগে ৫ হাজার রান পূর্ণ করতে পারতেন। কিন্তু তামিমই সুযোগটা করে দিলেন তার সতীর্থ মুশফিককে। ৬৮ রান দূরে থেকে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তিনি বুধবার ৫৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন। ১৫ রান দূরে থাকা মুশফিক দেখে শুনে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে অভিজাত ৫ হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এই রান পূর্ন হবার পর মুশফিককে ড্রেসিং রুম থেকে অভিন্দন জানান তামিম।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ ওভারে ৩৯২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তারা ৫ রান পিছিয়ে আছে। এর আগে সকালে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এরপর সূর্যের দেখা পায় টাইগাররা। তবে উইকেট ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময় মাঠে নামতে পারেনি মুমিনুল বাহিনী। চতুর্থ দিন বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১০টায় মাঠে নামেন মুশফিক-লিটন। ৭৯ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করেন তারা দুজন। এদিন তামিমের আগেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে নিজের নাম তুললেন মুশফিক। বুধবার ১৫ রান তুলেই এই কীর্তি গড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সাদা পোশাকে মুশফিক এখন ৫হাজার ১৭ রানের মালিক। আর তামিমের ৪৯৮১ রান।

এর আগে বুধবার ব্যাট হাতে মাঠে নেমে লিটন চওড়া হন লঙ্কান বোলারদের উপর। তিনি চতুর্থ দিন শুরু করেন ৪ হাঁকিয়ে। এক কথায় বলা যায়, বৃষ্টির পর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠে লিটন। এরপর তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। তাছাড়া কব্জিতে ইনজুরি আক্রান্ত তামিম মাঠে নেমে বুধবার কোনো রান তুলতে পারেনি। এদিন অবশ্য সুযোগ ছিল বাকি ১৯ রান করে ৫ হাজার ক্লাবের সদস্য হয়ে যাওয়ার।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ মে) দ্বিতীয় সেশনে ৫৮তম ওভারে রমেশ মেন্ডিসের একটি বল মুকাবিলা করতে গিয়ে তামিমের কব্জি ঘুরে যায়। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে আসতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা এসে টাইগার ওপেনারকে সহায়তা করেন। সঙ্গে সঙ্গে হাত টেনে দিয়ে তামিমকে সারিয়ে তোলার কাজ করেন। পরে তাকে বিসিবির ফিজিও ফিট করার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এই ওপেনার ১৩৩ রান নিয়ে রিটার্ড হার্ট হন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় বাংলাদেশ। তাছাড়া চট্টগ্রামের প্রচণ্ড গরমে ১৫০ ওভারের বেশি ফিল্ডিং করার পর ৫ ঘণ্টা ৯০ মিনিট ব্যাটিং করার প্রভাব পড়েছে তামিমের শরীরে।