সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) পাঁচজনের বিরুদ্ধে কলকাতায় ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ড শেষে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।

ওই আবেদন আরও বলা হয়, ১৪ দিনের রিমান্ড ছাড়াও ইডি আদালতের কাছে সিআরপিসির ৬৫ ধারায় অনুমতি চেয়ে বলেছে, অভিযুক্তদের যে কোনো জায়গায় নিয়ে যে কোনো ঘরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। পাশাপাশি ১৯ (৫) ধারায়, অনুমতি চেয়ে বলেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার অনুমতি চেয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এসব অনুমতি চাওয়ার তাৎপর্য হচ্ছে, পি কে হালদারকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা।

আরও পড়ুন : পি কে হালদারকে ফাঁসানো হচ্ছে, দাবি ভাইয়ের

এর আগে পি কে হালদারকে মঙ্গলবার কলকাতার বাঙ্কশাল আদালতে নেয় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত শনিবার থেকে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল সংস্থাটি। সোমবার সেই মেয়াদ শেষ হয়। সেই রিমান্ডে কি অগ্রগতি হয়েছে, সে সম্পর্কেও আদালতে জানানো হবে।

আরও পড়ুন : পি কে হালদারের ১৪ দিনের রিমান্ড চাইল ভারতীয় গোয়েন্দারা

তিনদিন ধরে পি কে হালদার ও তার পাঁচজন সহযোগী, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের দফায় দফায় জেরা করেছে ইডি। পি কে হালদারের আরও সম্পত্তির বিষয়ে তারা নির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে; যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি তারা।

অসংখ্য জমি ও বাড়ির পাশাপাশি মাছের যে ঘেরগুলো হালদার ও তার সহযোগীরা দীর্ঘ মেয়াদে লিজ নিয়েছিলেন, সেগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, পি কে হালদারের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছয়টি মোবাইল ডিভাইস ১২টি সিম কার্ড এবং একাধিক দেশের পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান।