×

জাতীয়

কুমিল্লায় ভোরের কাগজ সম্পাদক-প্রকাশকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২২, ১০:২৮ পিএম

কুমিল্লায় ভোরের কাগজ সম্পাদক-প্রকাশকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

ফাইল ছবি

বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের পর ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজসহ পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। এই মামলাকে তারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি মনে করছেন। উদ্দেশ্যমূলক এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (১৭ মে) পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

‘কুমিল্লার শীর্ষ মাদক কারবারি রিফাত এখন নৌকার কাণ্ডারি’ শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পত্রিকাটির প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও কাগজ প্রতিবেদক (কুমিল্লা) এম ফিরোজ মিয়ার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আব্দুল হান্নান ভোরের কাগজকে একটি সমন পাঠানোর নির্দেশনা দেন। আগামী ৩ জুলাই সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এটিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার হুমকি উল্লেখ করে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। এছাড়া বিবৃতি দিয়েছেন সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির (সিবিসাস) সভাপতি আজিজুল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা মনি, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (পিআইআরএফ) সভাপতি আছাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এাসোসিয়শেনের (ডুরা) সভাপতি মো. রুহুল আমিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাঁদুড়ী, সাভার প্রেসক্লাব সভাপতি নাজমুস সাকিব, সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য, শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইরাব সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকতারুজ্জামান। এছাড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক নূর হাসান নাঈম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রবিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান জোবায়ের।

আরও পড়ুন-কুমিল্লার শীর্ষ মাদক কারবারি রিফাত এখন নৌকার কাণ্ডারি

বিবৃতিতে বিএফইউজের নেতারা বলেন, গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে এ ধরণের মামলা হুমকি ছাড়া আর কিছুই নয়। গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতেই এই হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মুক্ত সাংবাদিকতার পথে বাধা সৃষ্টিকারী এ ধরণের মামলার নিন্দা জানিয়ে ডিইউজে বলেছে, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। অতীতেও এ ধরণের মামলার মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ডিইউজে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা দিয়ে সত্যপ্রকাশ থেকে নিবৃত করার অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ডিআরইউ বলেছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সংবাদ বন্ধ করা যাবে না। হয়রানিমূলক এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নতিতে ইর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করেছেন আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেছেন, গত ১৫ মে ‘কুমিল্লার শীর্ষ মাদক কারবারী রিফাত এখন নৌকার কান্ডারী’ শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে ভোরের কাগজ। যা অলীক কল্পনা প্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া যোগসাজসে সংবাদটি তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনের একটি অংশে আমাকে মাদক সম্রাট, টেন্ডার কাজের একক নিয়ন্ত্রক ও গোমতী নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে দেশের কোথাও কোনো থানা কিংবা কোর্টে মাদক সংক্রান্ত কোনো মামলা ছিল না, বর্তমানেও নাই। ঐ প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নৈতিক আচরণবিধির পরিপন্থি। এই সংবাদে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক সুনাম ও সম্মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

এদিকে দুপুরে মামলা দায়ের শেষে আদালত চত্তরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ কোনোভাবেই সত্য নয়। যদি সত্যি হয় তাহলেও তারা কেন দেখে শুনে এর আগে সংবাদ প্রকাশ করেনি? মনোনয়ন জমা দেয়ার পর কেন করেছে? তার মানে তাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে। তবে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সিটি নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো।

তার আগে সকালে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় রিফাতের পক্ষে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি অংশ। সেখানে দাবি করা হয়, রিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে ‘কষ্টিপাথরে যাচাই করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন বলেন, ২০১৮ সালের একটি তালিকা নিয়ে রিফাতের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে প্রতিবেদন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য।

যা ছিল ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে : ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান বর্তমান সরকারের। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্সে। তার নির্দেশেই সারাদেশে তালিকা করা হয় শীর্ষ মাদক কারবারি ও এর পৃষ্ঠপোষকদের। সরকারপ্রধানের নির্দেশেই ২০১৮ সালের ৪ মে থেকে দেশে শুরু হয় মাদকবিরোধী অভিযান। ওই অভিযানে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি ও এর পৃষ্ঠপোষকদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহতও হন অনেক মাদক কারবারি। যা সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছিল সে সময়।

অবশ্য এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাদক কারবারি ও এর পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় নাম ছিল অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির। চট্টগ্রাম বিভাগের ওই তালিকায় এমনই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেন আরফানুল হক রিফাত। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এই রিফাতই। গত শনিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

রিফাত আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতা হলেও শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে তার নাম থাকায় এ নিয়ে কুমিল্লায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কুমিল্লা আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ রিফাতের মনোনয়নে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকায় শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে নাম থাকার পরও কীভাবে দলের মনোনয়ন পেলেন রিফাত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শীর্ষ মাদক কারবারি ও এর পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত ওই তালিকাটি ভোরের কাগজের সংরক্ষণে আছে। এতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সদ্য নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আরফানুল হক রিফাতের নাম প্রথমেই রয়েছে। সেখানে লেখা অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী বা চোরাকারবারিদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা। রিফাত সম্পর্কে লেখা হয়েছে, তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কুমিল্লা মহানগরীর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত মনোনহরপুর তার বাসা। সেসময় এই অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও দেয়া হয়েছিল।

মাদক কারবারির শীর্ষ তালিকায় নিজের নাম থাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে আরফানুল হক রিফাত ভোরের কাগজকে বলেন, তালিকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আমি কিছু দেখিওনি। আমার কাছে এরকম কোনো তথ্যও আসেনি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে হাতে খড়ি। বহু জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। আমার ত্যাগ-তিতিক্ষা বিবেচনায় নিয়ে আমার নেত্রী ও আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কুমিল্লার মানুষ আমাকে নিশ্চয়ই ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন। ভোরের কাগজের এই প্রতিবেদকের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আপনারাও কুমিল্লায় আসেন, সবকিছুর খোঁজ নেন।

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগসহ বির্ভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করা তালিকায় কুমিল্লায় মাদকের গডফাদার হিসেবে রিফাতের নাম শীর্ষে আছে। রিফাতকে কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া ঠিক হয়নি। কারণ কুমিল্লার মাদক সম্রাট হিসেবে তিনি পরিচিত। কুমিল্লা শহরের সব ধরনের টেন্ডারের একক নিয়ন্ত্রক তিনি। গোমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ করেন রিফাত ও তার লোকজন। জনগণের কাছেও রিফাতের গ্রহণযোগ্যতা তেমন নেই বললেই চলে। কুমিল্লা শহরে যত মাদক ব্যবসায়ী আছে, সবাই রিফাতের ছত্রছায়াতেই চলে। এমনকি তিনি নিজেও একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। কুমিল্লা ক্লাবের বহুল আলোচিত মদ কেলেঙ্কারীর নায়ক। তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী মাহাবুবও মাদক ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত নেতা। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাকে সুস্থ করে তুলতে বিদেশে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। তিনি একজন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কুমিল্লার আপামর মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য। সব দিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, রিফাত জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিজয়ী হয়ে আসবেন।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App