বাড়িতে একা পেয়ে সাংবাদিক আমির খসরুর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম
এই বাড়ির দোতলায় একায় থাকতেন সত্তরোর্ধ সিতারা হালিম
পিরোজপুরের নিজ বাসা থেকে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমির খসরুর মা সেতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সিতারা হালিম পিরোজপুর সদরের সিআই পাড়ার দোতলা বাড়ির নিজ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। বাড়িতে স্থায়ী কোন কাজের লোক বা সাহায্যকারী ছিলেন না।
সোমবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় পিরোজপুরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিতারা হালিমের মেয়ে সালাম আরজু জানান, শহরের সিআইপাড়া এলাকার তাদের নিজেদের বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় তার মা একা থাকতেন। রবিবার রাতে সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়। সোমবার সকালে তাদের বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামের একজন বাসায় এসে ডাকাকাকি করলেও তার মা দরজা না খুললে তিনি বাসার নিচতলার ভাড়াটের কাছে বিষয়টি জানান। রো
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, সোমবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সিতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রাতে তাকে হত্যা করে ঘরের ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থানদার খায়রুল আহসান বলেছেন, দোতলায় রঙয়ের কাজ করার জন্য সকালে একজন রং-মিস্ত্রি আসেন। তিনি কয়েকবার কলিং-বেল বাজালেও ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। এরপর কয়েকবার দরজা ধাক্কানোর পরও কেউ দরজা খোলেনি। এরপর তিনি নিচতলার ভাড়াটিয়াদের ডেকে আনেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটির পেছন দিকে একটি ছোট সিঁড়ি আছে, যেটি দিয়ে দোতলার রান্নাঘরে ঢোকার একটি ছোট দরজায় পৌঁছানো যায়। রং-মিস্ত্রি এবং ভাড়াটিয়ারা ওই সিঁড়ি গিয়ে উঠে সেই ছোট দরজাটি খোলা দেখতে পান। সরু দরজাটি পেরিয়ে বাসায় ঢুকে সিতারা হালিমকে তার শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।