×

খেলা

ডি মারিয়া জুভেন্টাসে, সুয়ারেজ কোথায়?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ১০:৩৯ পিএম

ডি মারিয়া জুভেন্টাসে, সুয়ারেজ কোথায়?

ডি মারিয়া ও লুইস সুয়ারেজ

ইউরোপিয়ান ফুটবলে ২০২১-২২ মৌসুম প্রায় শেষ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তিনটিতে শিরোপা নির্ধারণ হয়ে গেছে। যে কারণে পরের মৌসুমের জন্য নিজেদের দল গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত ক্লাবগুলো। অনেক খেলোয়াড়ের চুক্তি শেষ হচ্ছে এই জুনে। এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন দলবদলটা জমে উঠতে শুরু করেছে। তাদের অনেকের সঙ্গেই চুক্তি নবায়ন করতে ব্যস্ত ক্লাবগুলো, আবার অনেকে ফ্রি এজেন্টে হিসেবে যোগ দিচ্ছেন অন্য কোনো ক্লাবে। তারকা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে বেশ খরচ করতেও দেখা যাচ্ছে অনেক ক্লাবকে। তরুণ খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে বয়স বেড়ে যাওয়া তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লাবগুলো চুক্তি নবায়ন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছে না। এমনই দুজন খেলোয়াড় হচ্ছেন পিএসজির ৩৪ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন তারকা ডি মারিয়া এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ৩৫ বছর বয়সি উরুগুয়েন স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।

ডি মারিয়া রিয়াল মাদ্রিদে খেলে এসেছেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর সঙ্গে। মেসি তার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার সঙ্গে বহু আগে থেকেই খেলে আসছেন। পিএসজিতে আসার আগে এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। স্পেন, ইংল্যান্ড মাতানোর পর এসেছিলেন ফ্রান্স মাতাতে। ২০১৫ সালের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ৫২ মিলিয়ন ইউরোতে যোগ দেন পিএসজিতে। প্যারিসে পার করে ফেলেছেন সাতটি বছর। এখন তার বয়স হয়ে গেছে ৩৪। বয়সের কারণেই হয়তো ফর্মেও কিছুটা ভাটা পড়েছে। এই মৌসুম শেষে পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদটাও শেষ হচ্ছে। প্যারিসের ক্লাবটিও তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে আগ্রহী নয়। গুঞ্জন রয়েছে এবার ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস হতে চলেছে তার নতুন ঠিকানা। আপাতত তার সঙ্গে ক্লাবটির চুক্তি হচ্ছে এক বছরের। তবে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছেÑ সেই চুক্তির মেয়াদ অন্তত দুই বছরে নেয়ার। ট্রফিখরায় ভোগা জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলানো অ্যালেগিও্র মনে করেন, তার দলের জন্য ডি মারিয়া হবেন দারুণ সংযোজন। পিএসজিতে সাত বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচটি লিগ ওয়ান শিরোপা জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। এখন পর্যন্ত ২৯১ ম্যাচে ৯১ গোলের পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন আরো ১১৭টি।

উরুগুয়েন তারকা লুইস সুয়ারেজের বার্সেলোনা ছাড়াটা সুখকর ছিল না। এরপর যোগ দেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। প্রথম মৌসুমে ২১ গোল দলের লা লিগায় জেতায় বড় অবদান রাখেন। কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুমে এসে অ্যাতলেটিকোর তরুণ আক্রমণভাগের কাছে প্রায়ই জায়গা হারিয়ে বেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছিল। এ কারণে হয়তো এবার অ্যাতলেটিকোও তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে আগ্রহী হয়ে উঠেনি। যে কারণে সেভিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে অ্যাতলেটিকোর জার্সিতে শেষ ম্যাচটিই যে খেলতে তিনি নামছেন, ক্লাবটি তা আগেই জানিয়ে রেখেছিল। অ্যাতলেটিকোর হয় এদিন ম্যাচের শুরু থেকে খেলেছেন সুয়ারেজ। দল যখন ১-০ গোলে এগিয়ে তখন ৬৫ মিনিটে তাকে তুলে নেন সিমিওনে। এরপর টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে সুয়ারেজের অশ্রুসজল চোখ। অ্যাতলেটিকোর সমর্থকরা ব্যানার এনেছিলেন, ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন বানানোর জন্য লুইস তোমাকে ধন্যবাদ!’ সুয়ারেজ ২০২০-২১ মৌসুমে নিজের পঞ্চম লা লিগা জেতান অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের জার্সিতে। সেবার ২১ গোল করে ছিলেন ক্লাবের শীর্ষ গোলদাতা। এই মৌসুমেও লিগে করেছেন ১১ গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮২ ম্যাচে ৩৪ গোল করার পাশাপাশি ছয়টি গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে।

অ্যাটলেটিকো ছাড়লেও তাকে এখনই মেজর লিগ সকারে দেখা যাচ্ছে না। ৩৫ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার এখনই ইউরোপ ছাড়তে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন দলবদল বিষয়ক নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো। তবে তাকে নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে, অ্যাস্টন ভিলার কোচ স্টিভেন জেরার্ড সাবেক লিভারপুল সতীর্থকে পেতে চাইছেন। সেখানে ধারে খেলা আরেক সাবেক অলরেড সতীর্থ ব্রজিলিয়ান তারকা কুতিনিও আছেন। সুয়ারেজকে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবেই দেখার সম্ভাবনাও রয়েছে জোরদার। আবার ক্যারিয়ারে শেষ সময়টা নিজ দেশ উরুগুয়ের কোনো ক্লাবেও কাটাতে পারেন ৩৫ বছর বয়সি এই তারকা স্ট্রাইকার।

আরেক আর্জেন্টাইন তারকা দিবালার জুভেন্টাস ছাড়ার গুঞ্জনটা শেষ পর্যন্ত সত্য হলো। গতকাল লাৎসিওর বিপক্ষে ম্যাচটাই জুভেন্টাসের জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ ছিল। আর সে ম্যাচের আগেই ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্টে দিবালা নিজেই নিশ্চিত করেন ব্যাপারটা। জুভেন্টাসের হয়ে ৭ বছরে ২৯১ ম্যাচে গোল করেছেন ১১৫টি এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ৪৮টি। ২০১৫ সালের পালের্মো থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তাকে নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App