×

মুক্তচিন্তা

অঙ্কনের মৃত্যু তদন্ত হওয়া দরকার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২২, ০২:২০ এএম

অঙ্কনের মৃত্যু তদন্ত হওয়া দরকার
অঙ্কনের মৃত্যুর তদন্ত হওয়া দরকার। কেউ হয়তো মামলা করেনি, তবু পুলিশ চাইলে সবই সম্ভব। শাকিল বা তার বন্ধু হিমেল অনেক তথ্য জানেন। অনেক খবর আছে অঙ্কনের বান্ধবীদের কাছে। সামাজিক মাধ্যমে একে-ওকে দায়ী না করে তদন্তের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হোক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের (২০১৬-১৭ বর্ষ) শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা গেছেন। অভিযোগ উঠেছে মেধাবী ছাত্রী এবং ভালো বিতার্কিক অঙ্কন বিশ্বাসকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত বিষয়টি তদন্ত করা। অঙ্কন বিশ্বাসের সঙ্গে একই কলেজের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের ২০১১-১২ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমদের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২২ মার্চ ২০২২ সম্পাদিত একটি এভিডেভিড অনুযায়ী তারা বিবাহিত ছিলেন। অঙ্কনের বান্ধবীদের মতে তাদের বিয়ে হয়নি। অঙ্কনের এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী জেবা সাজিদ মৌ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার মতে শাকিল বহুবিধ উপায়ে অঙ্কনকে নির্যাতন করত। হাসপাতালে ভর্তির আগে শাকিল তাকে লেবুর শরবত খাইয়েছে বলেও জানায়। জেবার মতে অঙ্কন এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু শাকিলের জন্য তা পারেনি। ২৪ এপ্রিল অঙ্কনকে আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, ৮ মে রাতে তার মৃত্যু হয়। শাকিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। অঙ্কনের মা-বাবা ঠিক কখন ঘটনা জেনেছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে সেটা বেশ দেরিতে তা স্পষ্ট। কার্ডিয়াক ফেইলার, স্ট্রোক বা কিডনি ফেইলারের কারণে অঙ্কনকে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, ৩০ এপ্রিল তাকে পিজিতে স্থানান্তর করা হয়। প্রশ্ন হলো- ২৩ বছরের একটি মেয়ের এত বড় বড় রোগ আছে, তা পরিবার জানত না? অঙ্কনের মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সন্দেহের তীর স্বামী বা বন্ধু শাকিলের দিকে। অঙ্কন কি মারা গেছেন না তাকে হত্যা করা হয়েছে, এটি সুরাহা হওয়া দরকার, কারণ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের একটি প্রাণবন্ত মেয়ের হঠাৎ কিডনি ফেইলার কেমন যেন বেমানান। অঙ্কনের পরিবারের বক্তব্য জানা যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে ভিকটিমের পরিবার সচরাচর মান-সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। মোদ্দাকথা হচ্ছে, অঙ্কনের মৃত্যুর তদন্ত হওয়া দরকার। কেউ হয়তো মামলা করেনি, তবু পুলিশ চাইলে সবই সম্ভব। শাকিল বা তার বন্ধু হিমেল অনেক তথ্য জানেন। অনেক খবর আছে অঙ্কনের বান্ধবীদের কাছে। সামাজিক মাধ্যমে একে-ওকে দায়ী না করে তদন্তের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হোক। অঙ্কনের বন্ধু আব্দুল মুকিত চৌধুরী সানি ও জেবা সাজিদা মৌর ভূমিকা ইতিবাচক। শিতাংশু গুহ : কলাম লেখক নিউইয়র্ক থেকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App