×

অর্থনীতি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আসার আশা অর্থমন্ত্রীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২২, ০৭:৪২ পিএম

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আসার আশা অর্থমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও অন্যরা। ছবি: ভোরের কাগজ

পাচার হয়ে যেসব টাকা দেশের বাইরে গেছে তা ফেরত আসবে এমন মন্তব্য অর্থমন্ত্রীর। কারণ, বিদেশে টাকা রেখে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০ অনুষ্ঠানে এমনটা জানান তিনি। এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিরতা কমাতে ব্যাংকগুলোকে একক দাম বেঁধে দেয়ার দাবি জানান ব্যাংকাররা। যদিও তা উড়িয়ে দেন বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে তা জানা আছে অর্থমন্ত্রীর। তার আশা, ফিরবে সকল পাচার করা অর্থ। কারণ, বিদেশে টাকা রেখে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। তিনি বলেন, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। সারাবিশ্বে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। তবে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি হবার মতো আশঙ্কা নেই। কারণ জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ ৩৪%, যার পুরোটাই সফট লোন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকাররা জানালেন, করোনার বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ায় হুন্ডির প্রবণতা বেড়েছে। খোলা বাজারে ডলারের বিপরীতে বাড়তি অর্থ পাওয়ায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অবৈধ পথ। পরিস্থিতির লাগাম দিতে তাই এক দেশ একই ডলার রেট বেধে দেয়ার দাবি তাদের।

হুন্ডি বাড়ছে এমন শংকার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপি পণ্যমূল্যের অস্থিরতায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। তাই এখন সর্বোচ্চ প্রাধাণ্য বৈধপথে প্রবাসী আয় আহরণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাছের বলেন, আমাদের রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে আকু পরিশোধের কারণে। এ রিজার্ভ বাড়াতে আমাদের আরও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যারা প্রবাসী আয় পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে স্বাগত জানাই। প্রণোদনা বাড়ানোয় বর্তমানে অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমে এসেছে। একইসঙ্গে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অর্থের অপকারিতা, সন্ত্রাসী অর্থায়ন বিষয়ে প্রবাসীদের আরও সচেতন করতে হবে। বর্তমানে আরও কয়েকটি দেশে শ্রমভিসা দিচ্ছে এতে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, এবার বৈধপথে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানোয় ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App