×

জাতীয়

ডিভোর্সি স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা, স্বামী কারাগারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২, ০২:৫৫ পিএম

ডিভোর্সি স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা, স্বামী কারাগারে

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ও অন্যান্যরা। ছবি: ভোরের কাগজ

ডিভোর্সি স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা, স্বামী কারাগারে

আটককৃত আসামি আনছারুল করিম

নোয়াখালী সদর উপজেলায় শৌচাগারের সেপটি ট্যাংক থেকে মো. ওমর ফারুকের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত করিম কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।

সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে অপরকে তালাক প্রদান করে। তালাক প্রদান করায় আনছারুল করিম তার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাত মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ মে আনসারুল করিমের শ্বশুর বাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তার আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে মামার শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, এরপর আসামি তার শ্বশুর বাড়ির শৌচাগারের সেপটি ট্যাংকের ভিতর মামার লাশ ফেলে চট্রগ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

রবিবার (৮ মে) দুপুরে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯ নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদ সংলগ্ন চটকি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কালাদরাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম জানান, পঁচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে চটকি বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App