অবশেষে কর্মস্থলে ফিরেছেন সেই টিটিই শফিকুল ইসলাম। পুনর্বহালের অফিস আদেশের খবর পেয়ে সোমবার (৯ মে) সকালে পাকশী রেল বিভাগের অফিসে অবস্থান করেছেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন এসআরআইটি (সিনিয়র ইন্সপেক্টর অব ট্রেইন) বরকতুল্লাহ আলামিনের কাছ থেকে ডিআরএম অফিস থেকে দেওয়া কন্ট্রোল অর্ডারের (নং ২৮৬, তাং ৮ মে-২০২২) কথা জানি। এরপর সকালে অফিসে উপস্থিত হই। পত্রটি অফিসে পৌঁছানোর পর অনানুষ্ঠানকিভাবে ডিউটি শুরু করব।

তিনি জানান, ডিআরএম শহীদুল ইসলাম রবিবার দুপুর ১২টায় গণমাধ্যমের কাছে আমাকে পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। এছাড়া কাজে যোগ দেওয়ার কন্ট্রোল অর্ডার নম্বরটিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাই কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছি।

রবিবার রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

ওই ঘটনায় পাকশীর রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, টিটিইকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে যেটা করেছেন, সেটা ঠিক হয়নি। তাতে আমি বিব্রত।

বিনা টিকেটে তার স্ত্রীর আত্মীয়দেরকে তিনি চিনতেন না বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এটা খুবই লজ্জার। আমার স্ত্রীর যদি রেল সম্পর্কিত কোনো কিছু চাওয়ার বা বলার থাকলে সে আমাকে বলবে। তা না করে তার এ ধরনের কাজ করা উচিত হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে টিকিট ছাড়াই পাবনা থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে উঠে এসি কামরায় বসেছিলেন তিন যাত্রী। ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) এলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন তারা। তখন বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন টিটিই। এ ঘটনার পর ওই টিটিইকে মুঠোফোনে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার তিনি আর কাজে যোগ দিতে পারেননি।