ভিন্ন মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার উপর হামলা মানে স্থায়ী কমিটি ওপর হামলা এবং দলের উপর হামলা।

তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তাদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি। এমন কি তারা ভিন্ন দল ভিন্নমতকে দমন করার জন্য চরম সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়।

রবিবার (৮ মে) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে গতকাল শনিবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের পাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার তাদের ক্ষমতাকে আবারো কুক্ষিগত করার জন্য এখন থেকেই তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ একটি মুনাফিক দল বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, তারা যে সকল কথা বলে সে সকল কথা তারা কোন দিন রাখে না, এটা হচ্ছে তাদের চরিত্র।

সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির অমানবিক এবং এর মূল কারণ হচ্ছে- সরকার অমানবিক দুর্নীতিবাজ। সরকার দুর্যোগের জড়িয়ে আছে যে কারণে জনগণের উপর ভয়াবহভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, এক লাফে ৩৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। টিসিবি ১২০ টাকায় বিক্রি করলেও খোলাবাজারে ২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।

ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমি লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। আমরা আগেও বলেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে; বলে জানান মির্জা ফখরুল।