×

সারাদেশ

সাতক্ষীরায় আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২, ০১:৫১ পিএম

সাতক্ষীরায় আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ শুরু

গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে আম

মৌসুমের গোড়াতে সাতক্ষীরায় প্রথম ধাপে বাগান থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে জেলার আম বাগান গুলোতে প্রথম পর্যায়ে চাষিদের গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ কয়েকটি প্রজাতির পরিপক্ক আম ভাঙা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম দিন ৬৫ টাকা দরে কাঁচা আম বিক্রি হয়েছে। বাগান থেকে আম সংগ্রহের পর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বাজারজাত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, পর্যায়ক্রমে ১৬ মে হিমসাগর, ২৪ মে ল্যাংড়া ও ১ জুন আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে নির্ধারিত সময়ের আগে। যদি কোনো ব্যবসায়ী বা চাষি অপরিপক্ব আম পেড়ে বাজারজাত করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ভৌগলিক কারণে দেশের অন্য জেলাগুলোর আগেই সাতক্ষীরা জেলায় আম পাকে। পুরো মৌসুম জুড়ে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম ফলপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়। প্রতিবছর এই জেলার আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্রে জানা যায়, এ বছর সারা দেশ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা থেকে বিদেশ যাবে ১০০ মেট্রিক টন আম। নিরাপদ আম রপ্তানির কাজে নিয়োজিত চাষিদের বছরজুড়ে নানা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কয়েকটি প্রজাতির আম ছাড়া অন্যান্য আম পাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম সংগ্রহের দিনও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর গাছে ফলন কম হওয়ায় আম ব্যবসায়ীরাদের লোকসানের মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সদর উপজেলার কুখরালী এলাকার আম ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, তিনি এই মৌসুমে ১৪ লাখ টাকায় ১৫টি আম বাগান কিনেছেন। গাছে ফলন কম। হিমসাগর আম গাছে শতকরা ৩০ ভাগ আম এসেছে। গোবিন্দভোগ গাছে এসেছে ৭০ ভাগ আম। তিনি ধারণা করছেন এ বছর তার লোকসান হবে।

সদর উপজেলার লাবসার আমচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর গাছে গুটি আসার পরপরই শিলাবৃষ্টি হয়। মুকুল ঝরে যাওয়ায় আশানুরূপ আম হয়নি। প্রথমে আম বাজারজাত করতে পারলে দাম বেশি পাওয়া যাবে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, গতবছর জেলার চার হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আবাদ বাড়লেও এ বছর ৫০ ভাগ গাছেই আসেনি আমের মুকুল। জেলায় ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার আমচাষি রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App