×

সারাদেশ

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২, ১০:৫৮ পিএম

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ঘড়িসার বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনেরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত মাহিনুর বেগম (২৮) নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের পন্ডিতসার গ্রামের ইতালি প্রবাসী উজ্জল মীর মালতের স্ত্রী।

নিহতর পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহিনুর বেগম ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে প্রসবজনিত ব্যথা উঠলে বাড়ির লোকজন মাহিনুরকে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসারে অবস্থিত মা-শিশু ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে মাহিনুরের পরিবারের লোকজনের কাছে মনোয়ার হোসেন নামের এক চিকিৎসক নিজেকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মাহিনুরের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। দুপুরে অস্ত্রোপচারের পর মাহিনুর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে মাহিনুরের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

নিহত মাহিনুরের চাচাতো শাশুড়ি আয়শা বেগম বলেন, সন্তান জন্মের পর মাহিনুর ভালো আছে বলে আমাদের জানান ওই চিকিৎসক। পরে অবস্থার অবনতি হয় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থার অনবতি হলে মাহিনুরকে চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাহিনুর মারা যান।

এদিকে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে মাহিনুরের স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশলে সরে পড়েন।

মাহিনুরের এক স্বজন বলেন, সার্জন না হয়েও ভুয়া পরিচয় দিয়ে ওই চিকিৎসক মাহিনুরের সিজার করান। ভুল চিকিৎসায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মাহিনুর মারা যান। সময় মতো সদর হাসপাতালে নিতে পারলে হয়তো তাকে বাঁচাতে পারতাম।

ঘটনার পর চিকিৎসক মনোয়ার হোসেন পালিয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সামছুল আরিফিন মনজুর বলেন, দুপুরে আমাদের হাসপাতালে এক প্রসূতি নারীর সিজার হয়েছে। সব নিয়মনীতি অনুসরণ করেই অস্ত্রোপচার করানো হয়। ওই প্রসূতি নারী নাকি স্ট্রোক করেছে চিকিৎসক বললো।

নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি (ভারপ্রাপ্ত ওসি) আবীর হোসেন বলেন, ওই হাসপাতালে নিহত প্রসূতির সিজার করা হয়। সিজারের পর মারা যান তিনি। পরে উত্তেজিত হয়ে প্রসূতির স্বজনেরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App