×

সারাদেশ

বিস্ফোরক সংকটে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২, ০৬:৩০ পিএম

বিস্ফোরক সংকটে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ

বিস্ফোরক সংকটে বন্ধ হয়ে আছে দিনাজপুরের ভূগর্ভস্থ কঠিন শিলা খনি মধ্যপাড়ার পাথর উত্তোলন। ছবি: ভোরের কাগজ

আবারও বন্ধ হয়ে গেল দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ কঠিন শিলা খনি মধ্যপাড়ার পাথর উত্তোলন। খনি ভূগর্ভে পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক (এক্সফ্লোসিভ) সংকটে পড়ে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় উৎপাদন ঠিকাদার জিটিসি। শিগগির উৎপাদন শুরুর কোন সম্ভাবনা নেই।

ঈদের ছুটি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) উৎপাদন শুরু করার মতো প্রয়োজনী বিস্ফোরক (ডেটোনেটর, কট, জেলসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক মালামাল) না থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রমিক-কর্মচারী ছুটি দিয়ে দেয় জিটিসি। গত ৩০ এপ্রিল খনি শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিয়ে পাথর উৎপাদন বন্ধ করা হয়।

এর আগে, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকটে পড়ে গত ১২ মার্চ উৎপাদন বন্ধ হয় এবং ২৭ মার্চ চালু হয়েছিল।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া খনিতে বছরে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খনির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক আমদানির জন্য তিনদফা দরপত্র আহবান করেও কেউ দরপত্র শিডিউল পর্যন্ত ক্রয় করেনি। তাছাড়া, সরকারি নানা নিয়মনীতি মেনে আমদানি করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া গেলে যায়। পেট্রোবাংলার সহায়তায় ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিস্ফোরক নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

এদিকে, বারবার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় একদিকে জিটিসি লক্ষমাত্রা অনুযায়ী, পাথর উৎপাদন করতে ব্যর্থ হবে এবং বড় ধরনের লোকসানে মুখে পড়বে। অপরদিকে সরকার প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাবে এবং খনিটিও আবার লোকসানের মুখে পড়বে বলে একটি সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এডিএম ফরিদুজ্জামানের সঙ্গে বৃহম্পাতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বারবার ফোন দিয়ে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমজিএমসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) মো. পিনাক ইকবাল পাথর উৎপাদন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার সকালে ভোরের কাগজকে জানান, খনির পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বৈশ্বিক নানা কারণে সময় মতো তা আমদানি করা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই তা নিয়ে আসা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App