দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে দরকার শারীরিক প্রস্তুতি: নুসরাত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২২, ০৯:২২ এএম
তার মা হওয়ার খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল অনেকের। নিখিল জৈনের সঙ্গে তার আলাদা হওয়ার খবর তখন সবার জানা, আর নুসরাত জাহান কিনা প্রেগন্যান্ট? সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় শুরুতে গোপনই রেখেছিলেন নায়িকা। পরে অবশ্য জানা যায় নুসরাতের সন্তানের বাবা আর কেউ নন, তার সহবাস সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত। পরে অবশ্য যশকে নিজের স্বামী বলেই পরিচয় দেন নুসরাত।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন নুসরাত। একরত্তি ঈশানকে নিয়ে এখন সুখী গৃহকোণ ‘যশরত’-এর। নুসরাতের ব্যক্তিগত জীবন হামেশাই থাকে চর্চায়। ছেলের জন্মের মাত্র ১২ দিনের মাথায় কাজে ফিরে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন নুসরাত। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। এবার যশ প্রেয়সী জানালেন দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে ঠিক কী কী করণীয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
একটি গর্ভনিরোধ ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার সারেন নুসরাত। সেখানেই মহিলাদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা সম্পর্কে নিজের মতামত রেখেছেন নায়িকা। দ্বিতীয় সন্তানের সময় কী কী করণীয় একজন দম্পতির কিংবা ওই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডটি কবে কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন মহিলারা সেই নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল নুসরাত জানাহকে। তিনি বলেন, ‘তুমি সবসময় চাইবে একটা বাচ্চার প্রতি ফোকাস থাকতে, কারণ একটা বাচ্চা অনেক বড় দায়িত্ব। যে কোনও বাবা-মা চাইবে বাচ্চাকে সুন্দর করে বড় করে তুলতে। মায়ের তো অজস্র দায়িত্ব থাকে। সেখানে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে হয়’।
দু-টো সন্তানের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট গ্যাপ থাকা উচিত, এমন পরামর্শ চিকিত্সকরা দিয়ে থাকেন, যোগ করেন নুসরাত। সম্প্রতি নুসরাতের ফ্যানপেজ থেকে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যা রীতিমতো ভাইরাল।
এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে নুসরাত হেটার্সরা বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়েননি। একজন লিখেছেন, ‘তোরা তো সারাদিন ঘুরতেই ব্যস্ত থাকিস, বাচ্চা কখন সামলাস?’ আরেক জন লেখেন, ‘তোমার বাচ্চাকে তো সামনে দেখাই যায় না’।
সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে যশকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নুসরাত। সেখানেই নুসরাতকে ‘মাদারহুড’ নিয়ে প্রশ্ন করেন সৌরভ। জবাবে তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত, যেমনটা অন্য সবার মাতৃত্ব হয়। তবে একটু ক্লান্তিকর আর কী!’ এরপর সঞ্চালক আরও জানতে চান, ‘রাতে জাগিয়ে রাখে না?’ চটজলদি নতুন মায়ের উত্তর, ‘না, না- যশ ওকে খুব ভালো করে স্লিপ ট্রেন করে দিয়েছে। যেখানে এখন গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়, ও একটানা ৮ ঘন্টা ঘুমোতে পারে’।
নুসরাত-যশের এই স্বীকারোক্তি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। নিজেদের শান্তির ঘুমের জন্য ছোট্ট ঈশানকে রাত অবধি জাগিয়ে রাখা একদমই ঠিক নয়, লেখেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।