তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস উদ্যোগে জর্জিয়ার স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জর্জিয়ার রেডিসন ব্লু হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে তা উদযাপিত হয়। আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে তুুুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান মিজ শাহ্নাজ গাজীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, জর্জিয়া ও তিবলিসি তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের অধিক্ষেত্রাধীন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জার্জিয়ার ফার্স্ট ডেপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, ডিপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, মেম্বার অব পার্লামেন্ট মিকাইল সার্জভেলাটজে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও অনারারি কনসাল, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। হোটেলের প্রবেশ গ্যালারীতে বাংলাদেশর পর্যটন ও উন্নয়নের উপর আলোক চিত্র-প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মস্যূদ মান্নান বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সক্রিয় প্রচেষ্টার তুলে ধরেন। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের সব মানদণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। এছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধকে জর্জিয়ান জনগণের সক্রিয় সমর্থনের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন।

জার্জিয়ার ফার্স্ট ডেপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি তার বক্তব্যে দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।

পরে স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-জর্জিয়া মৈত্রী কেক কাটা হয়। এই পর্বে অংশগ্রহন করেন জার্জিয়ার ফার্স্ট ডেপুটি স্পিকার জর্জি ভোলস্কি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, মেম্বার অব পার্লামেন্ট মিকাইল সার্জভেলাটজে, রাষ্ট্রদূত মস্যূদ মান্নান ও তার সহধর্মিনি অধ্যাপক ড. নুজহাত আমিন মান্নান ও জর্জিয়ার ব্যবসায়ীরা। এসময় উপস্থিত সবার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম অঙ্কিত কলম, ফ্লাস কার্ড, নকশিকাঁথা ও বাংলাদেশের ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও জর্জিয়া ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর একটি ব্রোশিওর সব আমন্ত্রিত অতিথিদের উপহার হিসেবে দেয়া হয়।