×

জাতীয়

হাজতখানা থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৩৫ পিএম

হাজতখানা থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন

প্রতীকী ছবি

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে হত্যা মামলার আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মুনসের আলী মুন্না হত্যা মামলার আসামি বাদশা মিয়া হাজতথানা থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টিকে আইনজীবীরা পুলিশের গাফিলতি বলে মনে করছেন। তবে পলায়ন করা আসামির গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, এদিন কলেজছাত্র মুন্না হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তাই এ মামলায় কারাগারে থাকা বাদশা মিয়া ও লাল মিয়াকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। এরপর শুনানির জন্য তাদেরকে ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা মিনহাজ উম মুনীরার আদালতে নেয়া হয়। তবে এদিন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরে তাদের পাঁচ তলার এজলাস থেকে নামিয়ে হাজতখানায় নিয়ে আসছিল পুলিশ। আদালতের তৃতীয় তলায় আসলে বাদশা মিয়া এক পুলিশ কনস্টেবলের হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।

হত্যার আসামি পালিয়ে যাওয়ায় আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবী বলছেন, ‘কিভাবে হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেলো? পুলিশের গাফিলতি না থাকলে এটা সম্ভব না।’

এদিকে, পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিয়ার রহমান মিঞা জানান, বেলা ১১টার দিকে বাদশা মিয়া পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এ টি এম গোলজার হোসেন (বাচ্চু) বলেছেন, ‘এ মামলার ছয় আসামির মধ্যে বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া কারাগারে ছিল। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুকুর আলী নামে এক আসামি জামিনে আছে। আজগর চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন এবং আক্তার হোসেন পলাতক। মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। দুই আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় বাদশা মিয়া পালিয়ে গেছে বলে শুনেছি।’

জানা যায়, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মুন্না বিভিন্ন জায়গায় ছবি আঁকতেন। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট ছবি আঁকার করার কথা বলে মুন্নাকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে মুন্নার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। মুন্নার পরিবার আসামিদের ১০ হাজার টাকাও দেয়। তারপরও আসামিরা মুন্নাকে হত্যা করে। ১২ সেপ্টেম্বর এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে সাভার থানা ও মানিকগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে মুন্নার ভাই মঞ্জুর ওই দিনই সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App