ইভ্যালির সাবেক এমডি ও চেয়ারম্যান পণ্য ক্রয়ে বিকাশ, নগদ ও চেকের মাধ্যমে কাকে কত টাকা দিয়েছেন সেই তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) ইভ্যালি বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ইভ্যালি বোর্ডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান।

এদিকে, চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে গত ২১ এপ্রিল জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি।

এরআগে গত ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হন ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। ওই দিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। গুলশান থানার একটি এবং ধানমন্ডি থানার পাঁচটি মামলায় বাদীর সঙ্গে মীমাংসার ভিত্তিতে শামীমাকে আদালত সব মামলায় জামিন দেন।

উল্লেখ্য, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।