×

জাতীয়

ঘর পাওয়া মানুষের হাসি সব থেকে বেশি ভালো লাগে: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫২ পিএম

দেশের আরও ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের একটি বাড়ি পাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর তাদের মুখের হাসি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারের মধ্যে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ফরিদপুরের নগরকান্দা, বরগুনা সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও সিরাজগঞ্জ সদরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘর ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। এর মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫০,২৩৩ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারা চাইবে না দেশ এগিয়ে যাক। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতেই হবে। আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ আমার কাছে ক্ষমতাটা ভোগের বস্তু নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের অবহেলিত ও ছিন্নমূলদের ভাগ্য পরিবর্তন করায় আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। আমরা শুধু হতদরিদ্র মানুষই নয় ছিন্নমূল, বেদে, হিজড়াসহ সব শ্রেণির মানুষকে ঘর দিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে আপনারা দাঁড়াবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা চোখে দেখে না। দুর্যোগের দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ বলার সুযোগ পায় না। সবাই বলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে এদেশের মানুষের জন্য।

করোনা মোকাবিলায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারী মোকাবিলায় অনেক ধনী দেশ যা পারেনি আমরা তা পেরেছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সবাইকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দিয়েছি এবং এসব ভ্যাকসিন কিনে আনতে আমাদের অনেক খরচ হয়েছে। শুধুমাত্র একটা ভ্যাকসিনের দাম ধরে, সেই হিসাব ধরলে কিন্তু হবে না। একটা ভ্যাকসিন কিনতে আমাদের লোকবল লেগেছে, স্থান লেগেছে। টিকা নিয়ে এসে সংরক্ষণ করতে হয়েছে। এগুলো রাখার জন্য ডিপ ফ্রিজ কিনতে হয়েছে। এগুলো গ্রামপর্যায়ে দেয়ার জন্য সেখানেও এয়ারকন্ডিশন ঘর তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী যারা টিকা দিয়েছে ও টেস্ট করেছে সেখানেও কিন্তু আমাদের টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসকসহ আমাদের যেসব স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার ভাতা এমনকি সুরক্ষার জন্য পিপিই থেকে শুরু করে সব কিছু অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই টাকা খরচ করতে হয়েছে। ইনজেকশন দিতে গিয়ে যে সিরিজ কিনতে হয়েছে, তাতেও খরচ হয়েছে। এসব তথ্য যদি এক এক করে হিসাব করা হয় তাহলে বোঝা যাবে যে এখানে কত টাকা খরচ করতে হয়েছে। আমরা চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি, নার্স নিয়োগ দিয়েছি, স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছি, ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছি। এভাবে আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে সেবা দিয়েছি। অনেক ধনী দেশ সেটা করতে পারেনি। আমরা পেরেছি। করোনায় মারা গেছেন, পরিবারের সদস্যরা লাশ ফেলে রেখে চলে গেছেন। সেখানে কিন্তু আমাদের পুলিশ সেই লাশ দাফন করেছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ সবাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবেই আমরা করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App