×

জাতীয়

উন্নয়ন হলেও তা যথেষ্ট ভাবার কোনো কারণ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৩ পিএম

উন্নয়ন হলেও তা যথেষ্ট ভাবার কোনো কারণ নেই

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিপিডির রিসার্চ ফেলো

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের রিসার্চ ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পরে গার্মেন্টস খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পরে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যেমন- আইনের সংস্কার, নীতিগত উন্নতি, কারখানা কর্মপরিবেশের জন্য বিস্তৃত উদ্যোগ, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি। এসব উদ্যোগের ফলে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগ্রতি সেই সময়ে আমরা কারখানাগুলোতে দেখতে পেয়েছি। তবে সেই উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা চোখে পড়ছে।

তিনি বলেন, অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে যে সংস্কারগুলো হয়েছিল, তাদের পরবর্তী সময়ে এ উদ্যোগগুলো যারা বাস্তবায়ন করছে তাদের বিভিন্ন রকমের সমন্বয়হীনতা, স্বচ্ছতার অভাব বা দক্ষতার দুর্বলতাগুলো এখন দেখা যাচ্ছে। এ উদ্যোগগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ইউনিট ডাইসের অধীনে হওয়া উচিত কিন্তু এগুলোও এখন চোখে পড়ছে না। ফলে কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উদ্যোগগুলোও চোখে পড়ছে না। এতে করে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। কারণ নতুন নতুন কারখানাও যুক্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার ফলে দুর্বলতার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি।

সুতরাং রানা প্লাজা ধসের পরে যে উন্নয়ন হয়েছিল তা যথেষ্ট ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং ধারাবাহিক উদ্যোগের জায়গাগুলোতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা জড়িত রয়েছে তাদের মধ্যে সমন্বয় দরকার। এ উদ্যোগগুলো শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডাইসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া উচিত।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সেই সময়ে আরো একটি উদ্যোগ ছিল, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা নেয়া হলেও শ্রমিকদের সংগঠন করার জায়গাটিতে দৃশমান কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে এ জায়গায় এখনো বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App