×

জাতীয়

হাওরে আর সড়ক নির্মাণ নয়, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫৮ পিএম

হাওরে আর সড়ক নির্মাণ নয়, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

টাঙ্গুয়ার হাওর। ফাইল ছবি

হাওরে আর সড়ক নির্মাণ নয়, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক। ছবি: ভোরের কাগজ

পানির প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য হাওর এলাকায় নতুন করে আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না। সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এসে তিনি আরও বলেন, যে সড়কগুলো এখন আছে, সেগুলো পরিদর্শন করে প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর ব্রিজ নির্মাণ করা যায় কি না সেটা দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাওর এলাকায় রাস্তা করতে হলে সবগুলো এলিভেটেড করতে হবে।

[caption id="attachment_345461" align="aligncenter" width="1391"] সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যের অবৈধ মজুতে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে 'খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ খসড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। দুটি আইন এক সঙ্গে করে নতুন খসড়া আনা হয়েছে। 'দ্য ফুড গ্রেইন সাপ্লাই প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৯' এবং 'ফুড স্পেশাল কোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৬' দুটো আইনকে এক সাথে করে নতুন আইন করা হচ্ছে।

এ আইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ করা যাবে। এর মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না, বরং মান নিশ্চিত করা হবে। কেউ যাতে অনৈতিক কাজ করতে না পারে, ক্রেতারা যাতে ঠকে না যান সে ব্যবস্থা করা হবে।

খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ যাতে না হয় সেগুলো প্রতিরোধ করা করার জন্য এ খসড়া আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেউ যদি এই আইনের অধীনে অপরাধ করে তবে তাকে সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।

কেউ যদি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিকর কিছু মিশিয়ে উৎপাদন করে, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মজুত করে তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে জানান তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বলে দিয়েছে, নিরাপদ খাদ্য আদালতই এগুলো দেখবে, আলাদা কোন আদালত লাগবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টেও বিচার করতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App