অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত যথেচ্ছ ব্যবহার ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে শঙ্কার কথা জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে ২০৫০ সালে করোনা ভাইরাসের চেয়ে বেশী সংকটে পড়বে দেশ।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) জাপানী তোমাকিই বায়ো লিটিমেটেড, তোমাকিই ইন্ডাসট্রিয়াল কোপানি লিমিটেড ও ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আগামী ২০৫০ সালে দেশে করোনার মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ মৃত্যু হতে পারে। সবার স্বার্থে অ্যান্টিবায়োটিকের এমন ব্যবহার রোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে যততত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে কোন ফার্মাসী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করতে না পারে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান, জাপানী প্রতিনিধি দলের পক্ষে ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহরুবা, তোমাকিই ইন্ডাসট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী ব্যবস্থাপক নাকাহার সন্তোষী, তোমাকিই বায়ো লিটিমেটের জেনারেল ম্যানেজার ইমাই জুনইয়া উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের ঐতিহ্য, পারস্পারিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের অতীত ইতিহাস উঠে আসে। দুই দেশের চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিকাল ট্রায়ালসহ নানাবিধ বিষয়ে গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ে জাপানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান।