ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছাল চেলসি। এখন সামনে প্রতিপক্ষ রইল কেবল লিভারপুল। ম্যাচটি হবে আগামী ১৪ মে। রবিবার ৬৫ মিনিটে প্রথম গোল করেন রুবেন লফটাস চিক এবং ৭৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মেসন মাউন্ট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

চেলসির ম্যানেজার টমাস টুহল ম্যাচের পরে দলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ওয়েম্বলিতে এ দিন সেমিফাইনালে চেলসিকে বেশ লড়াই করতে হয় ক্রিস্টাল প্যালেসের রক্ষণ ভেদ করতে। শেষ পর্যন্ত রুবেনের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। এর পরে মেসন চেলসির টানা তৃতীয়বার এফ এ কাপের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করেন। গত ছয় বছরে এ নিয়ে পাঁচবার এফএ কাপের ফাইনালে উঠল চেলসি। ২০২০ ও ২০২১ সালে আর্সেনাল এবং লেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরে গেছিল তারা। এর আগে টুহল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জিতলেও চেলসির দায়িত্ব নেয়ার পরে ঘরোয়া ট্রফি জিততে পারেননি।

এদিকে, যতবার সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন, মাঠে নেমে গোল করেই জবাব দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শনিবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে নরউইচ সিটির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে সি আর সেভেন বুঝিয়ে দিলেন, ৩৭ বছর বয়সেও তিনি কতটা ভয়ংকর।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরে ইপিএলে এভারটনের কাছে হার। আগামী মরসুমে ম্যান ইউয়ের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন করা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন ম্যানেজার হিসেবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা রাখতে চলা এরিক টেন হ্যাগ ম্যানইউ কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন মরসুমে তার পছন্দের তালিকায় নেই রোনালদো। এ পরিস্থিতিতে শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোনালদোই ত্রাতা হয়ে উঠলেন। দলকে পয়েন্ট টেবলের পঞ্চম স্থানে তুলে নিয়ে গিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার আশাও। শুধু তাই নয়। ৬০তম হ্যাটট্রিকের কীর্তিও গড়লেন পর্তুগাল অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে রোনালদো জানিয়েছেন, ‘এ জয়ে আমি দারুণ খুশি। ভালো লাগছে প্রিমিয়ার লিগে আবার ছন্দে ফিরতে পেরে।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি আগেও বলেছি, ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জন তখনই মধুর হয়, যখন তা দলকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। আমার ফুটবল জীবনের এই ৬০তম হ্যাটট্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা আমাদের তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’

জুভেন্টাসের ত্রাতা দুসান: শেষ ছয় মিনিট নয়জনে খেলা সত্ত্বেও বোলগনাকে হারাতে ব্যর্থ জুভেন্টাস। শনিবার সিরি আ’তে তুরিনে ঘরের মাঠে সংযুক্ত সময়ে গোল করে কোনোমতে হার বাঁচাল তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মার্কো আর্নাউতোভিচ এগিয়ে দেন বোলগনাকে। সংযুক্ত সময়ে (৯০+৫ মিনিট) স্বস্তি ফেরে জুভেন্টাসে। মোরাতার কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে ১-১ গোল করে দলের হার বাঁচান দুসান ভ্লাহভিচ।