×

আন্তর্জাতিক

জনতার বিক্ষোভে রাজপথে জয়সুরিয়া, রানাতুঙ্গাও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৭ এএম

জনতার বিক্ষোভে রাজপথে জয়সুরিয়া, রানাতুঙ্গাও

প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে এবার সামিল হলেন অর্জুন রানাতুঙ্গা এবং সনাথ জয়সুরিয়া

ঋণে জর্জরিত চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলংকায় জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, সর্বোপরি নেই খাবারও। যে কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে চলছে জনগণের তুমুল বিক্ষোভ। এবার সেই বিক্ষোভে যোগ দিলেন শ্রীলংকার ক্রিকেট আইকন অর্জুন রানাতুঙ্গা এবং সনাথ জয়সুরিয়া। শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

রানাতুঙ্গা শুক্রবার কলম্বোতে রাজাপাকসের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ক্রিকেটের প্রাণ দর্শকরাই। আমাদের ভক্তরা আজ রাজপথে। কারণ তারা আর কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। আমাদের অনুরাগীদের যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন আমাদের সঙ্গে থাকা উচিত। ক্রীড়া তারকাদের অবশ্যই সশরীরেই প্রতিবাদে যোগ দেওয়া উচিত।

এর ঘণ্টাখানেক পর রাজাপাকসের ঔপনিবেশিক আমলের কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেডে ওঠে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতির ঘোষণা দেন। রাজাপাকসের কার্যালয়ের সামনে গত সপ্তাহ থেকেই প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার কার্যালয়ের সামনে ‘গল ফেস’ নামক উন্মুক্ত স্থানে আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি দাবি জানিয়ে এবং তিন বছর আগে হওয়া ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ বোমা হামলার বিচার চেয়ে ২৪ ঘণ্টার অনশনে বসেছেন শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার ধামিকা প্রাসাদ।

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা। আমদানির বিল পরিশোধে প্রয়োজনীয় বিদেশি মুদ্রার তীব্র ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরেই টানাটানিতে চলছে শ্রীলংকার সরকার। দেনার বোঝায় মুখ থেঁতলে পড়েছে রাজকোষ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে।

তেল নেই, খাবার নেই। থেমে থেমেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আধা ঘণ্টা থাকে তো ২ ঘণ্টা উধাও! জ্বালানি চাহিদা পূরণে আমদানি করবে সেই পথও বন্ধ-রিজার্ভ নেই! এমন অবস্থায় একেবারে নিরুপায় হয়েই সত্তর-আশির দশকের হারিকেন, কুপিবাতি আর কাঠ-কয়লার ইস্ত্রির যুগে ফিরে গেছে স্থানীয়রা। এখানেও ভোগান্তি! অভাবের দেশে সবকিছুই যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে! হাল আমলে এসেও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সেকালের পণ্য!

নুয়ারা এলিয়া জেলার হ্যাটনের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ বছর পর হঠাৎই বেড়ে গেছে কেরোসিনের বাতি ও কাঠ-কয়লার আয়রনের দাম। একটি কাচের চিমনির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০০ শ্রীলংকান রুপি। আর কাঠ-কয়লার আয়রন মেশিন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ রুপিতে। হারিকেনের চাহিদাও বেড়েছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহের অভাবে পণ্যটির সংকটও তৈরি হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App