×

সারাদেশ

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে বাড়তি সতর্কতা, পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫৭ এএম

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে বাড়তি সতর্কতা, পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মেরামত করা হয় ফসল রক্ষা বাঁধ। ছবি: ভোরের কাগজ

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে বাড়তি সতর্কতা, পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা

সুনামগঞ্জে চলমান পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষা বাঁধে বাড়তি নজরদারি বাড়িয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাউবো কমিটি। যেখানেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে-সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পিআইসদের আরও সতর্কতা বাড়ানোর তাগিদের পাশাপাশা সার্বক্ষণিক বাঁধে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ধান কাটার আহবান করা হয়েছে। তবে শঙ্কা রয়েছে পাহাড়ি ঢলের।

সুনামগঞ্জে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি । জেলার অন্যান্য নদ-নদীর ন্যায় পানি বেড়েছে শান্তিগঞ্জেও। লাগাতার বৃষ্টি আর পানি বৃদ্ধিতে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে চারিদিকে। কৃষকদের দুশ্চিন্তা যেন থামছেই না। বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মেরামত করে দিনরাত পাহারা দিচ্ছে পিআইসিরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের জমিতে সোনালি ধানের এ মহাসমারোহ যেনো কৃষকের মুখে সোনালি হাসির ঝিলিক নিয়ে এসেছে। তবে নদীতে পানি বাড়ায় এখন ফসলহানির ভয়ে দিশেহারা কৃষক৷ ধান আধাপাকা হওয়ায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরও দু একদিন লাগবে।

 

হাওরের একাধিক কৃষকরা বলেন, হাওরে শঙ্কা নিয়েই ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন সবসময়ই ভয়ে থাকি। এবার ফসল নষ্ট হলে ঋণের বোঝা বাড়বে, আর না খেয়ে উপোস থাকতে হবে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠ তদারকিতে আছেন ৷ দ্রুত ধান কাটার সকল ব্যবস্থা করেছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ইতিমধ্যে শান্তিগঞ্জে ১৫ শতাংশের উপরে ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আরও কয়েকদিন গেলেই শতভাগ ধান কাটা সম্ভব হবে- এমন আশা তাদের।

এদিকে বন্যার সম্ভাবনা খবরে বাঁধে জোর তদারকি অব্যাহত রেখেছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন। প্রতিদিনই তারা উপজেলার ঝুকিপূর্ণ বাঁধগুলো পর্যবেক্ষণ করে পিআইসিদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বাঁধে আছেন তারা। রমজান মাসেও তাদের কঠোর শ্রম অব্যাহত আছে।

কথা হয় একাধিক পিআইসিদের সঙ্গে। তারা জানান, রাত জেগে এখনো বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন। নদীতে পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে বাঁধে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বৃষ্টি হলে ভয় হয়। যদি আগের মতো পাহাড়ি ঢলের পানি আসে তাহলে ঝুঁকি আছে।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, ফসল রক্ষায় সবধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যেখানে সমস্যার কথা শুনছি, সেখানেই অবস্থান করছি আমরা। পিআইসিদের আরও নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছি। তারা সার্বক্ষণিক বাঁধে আছে। বাঁধ রক্ষায় যা প্রয়োজন সব করব আমরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App