রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। শনিবার (১৬ এপ্রিল) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় লাভিভ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বলেছে, শুক্রবার রাতে কিয়েভে একটি ট্যাংক তৈরির কারখানার পর দেশটির আরও ১৬টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র। খবর রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন ও আল–জাজিরা

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেছেন, রুশ বিমানবাহিনী উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে রাতারাতি ইউক্রেনের ১৬টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এসব সামরিক স্থাপনার মধ্যে ওডেসা অঞ্চলের পোভস্তানস্কো গ্রামে ইউক্রেনের সামরিক যানের ১১টি সংরক্ষণাগারও রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের নিকোলেইভ শহরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলার দুটি গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া পোলতাভা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে রাডার ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের সরঞ্জামের গুদাম, পোলতাভা শহরের দক্ষিণে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম এবং গুসারভকা গ্রামে বিমানবাহিনীর ৯৫তম ব্রিগেডের ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোর একটি ঘাঁটিতে হামলা করেছে রাশিয়া। কিয়েভের একটি ট্যাংক তৈরির কারখানা এবং নিকোলেইভের সামরিক সরঞ্জাম মেরামতের একটি ওয়ার্কশপও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানীর মস্কোর সঙ্গে মিল রেখে সোভিয়েত আমলে তৈরি যুদ্ধজাহাজটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মস্কোভা’। গত বৃহস্পতিবার কৃষ্ণসাগরে এটি ডুবে যায়। এই যুদ্ধজাহাজ রুশ বাহিনীর শৌর্যের প্রতীক। রাশিয়া বলেছে, জাহাজটিতে আগুন লাগে। পরে সেটি ঝড়ের কবলে পড়ে এটি ডুবে যায়। তবে জাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই যুদ্ধজাহাজ জর্জিয়া ও সিরিয়া যুদ্ধের পর ইউক্রেন যুদ্ধেও ভূমিকা রাখছিল। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময়ও এর তত্পরতা দেখা গেছে।