×

শিক্ষা

জবিতে বর্ণিল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ উদযাপন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম

জবিতে বর্ণিল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ উদযাপন

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বের হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষক। ছবি: ভোরের কাগজ

জবিতে বর্ণিল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ উদযাপন

ফাইল ছবি

বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ-১৪২৯ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর সারাদিন ব্যাপী উৎসব চলতে থাকে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ অংশগ্রহণ করেন। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রকৃতি’। শোভাযাত্রায় পাখি, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ ও পেঁচার প্রতিকৃতি স্থান পায়।

[caption id="attachment_344873" align="aligncenter" width="700"] বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বের হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষক। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

এদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত বিভাগের পরিবেশনায় ছিল নৃত্য, দলীয় সঙ্গীত এবং লোক সঙ্গীত। এছাড়াও ‘মনের মানুষ’ ও ‘ট্রাভেলার্স’ ব্যান্ড দলের পরিবেশনায় ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন,বাঙালি জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আশা করি নতুন প্রজন্ম বাঙালির মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, মনের কালিমা দূর করতে হলে আমাদের জাগ্রত হতে হবে। নীরবতা এক ধরনের অপরাধ। এ কারণেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নীরবতাকে ভঙ্গ করতে হবে।

এদিকে, বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।

করোনা মহামারির কারণে পর পর দুই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে । তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ভিন্ন আমেজে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App