পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক সাংস্কৃতিক অনুুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকালে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় ‘এসো হে বৈশাখ, আজ জীবন খুঁজে পাবি’ শিরোনামে পরিবেশিত হয় সমবেত সঙ্গীত। এছাড়াও শিশু সঙ্গীত দলের ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের…’, সরকারি সঙ্গীত কলেজের পরিবেশনা ‘আজি নতুন রতনে, ভূষণে যতনে’, ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী সন্ধ্যা আকাশ’, বাউল দলের ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এবং ভাওয়াইয়া দলের ‘বার মাসে তের ফুল ফুটে’ ও ‘যেজন প্রেমের ভাব জানে না’ শিরোনামে সমবেত সংগীত পরিবেশিত হয়। মেহরাজ হক তুষারের পরিচালনায় শিশু নৃত্যদলের নৃত্য পরিবেশনা ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’, বাফার নৃত্য পরিচালক ফারহানা চৌধুরী বেবির পরিচালনায় ‘নতুন দিনে নতুন আলো রাঙ্গা নতুন সাজ’, ‘নাগর দোলায় দুলছে যেন সবারই মন আজ’, ‘বছর ঘুরে এলো আবার ফিরে নতুন বৈশাখ’, নৃত্য নন্দন এর এম আর ওয়াসেফ পরিচালিত ‘বারো মাসে তের পার্বণ’, স্পন্দন এর অনিক বোস পরিচালিত ‘জাগো জাগো জাগো জাগোরে রঙ্গে..’এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের পরিবেশনা ও মেহরাজ হক তুষারের পরিচালনায় ‘সহজ মানুষ’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়। আবৃত্তি শিল্পী গোলাম সারোয়ারের ‘নববর্ষে, কবি সুফিয়া কামাল’, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং বর্ণা সরকার আবৃত্তি পরিবেশন করেন। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুরোবালা, সমির বাউল, কাজল দেওয়ান এবং বাবলী দেওয়ান।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন তামান্না তিথী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।