রাশিয়ার লক্ষ্য এখন পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেন। তাই ১২ কিমি এলাকা জুড়ে কয়েকশ ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে দেশটি। এর আগে ওয়াশিংটনের সতর্ক করার পর এবার কিয়েভও জানিয়েছে, বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। তার পূর্বাভাস স্পষ্ট।

কিয়েভ জানায়, খারকিভে চলছে টানা গোলাবর্ষণ। কয়েকশো ট্যাঙ্ক, সশস্ত্র ট্রাক ও অন্যান্য যুদ্ধযান অন্তত ১২ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার লক্ষ্য পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এ যুদ্ধের জন্যও তারা প্রস্তুত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্য বড় শহরগুলো দখলে ব্যর্থ হয়েছে রুশ বাহিনী। চেরনোবিল, চেরনিহিভের মতো শহর দখল করেও ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে তাদের। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, পূর্ব ইউক্রেনে ভয়াবহ আগ্রাসী রূপ নিতে চলেছে রাশিয়া।

এ যুদ্ধে মস্কোর সঙ্গে লড়বে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোও। প্রতিদিন উঠে আসছে রুশ নৃশংসতার ভয়াবহ ছবি। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা কাঠগড়ায় তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। আজ সোমবার জেলেনস্কি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, বুচা কিংবা দেশের অন্যত্র যুদ্ধাপরাধে যারা যারা জড়িত, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আদৌ কি তা সম্ভব হবে?

ইউক্রেনের প্রোসিকিউটর জেনারেল আজ জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার পরে কিয়েভের আশপাশের অঞ্চল থেকে মোট ১২২২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫৬০০ যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী ও সরকারি কর্তাদের মধ্যে ৫০০ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোমবার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনের নিপ্রো বিমানবন্দরে আছড়ে পড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। আঞ্চলিক প্রধান ভ্যালেন্টাইন রেজনিচেঙ্কো বলেন, আগেই ওরা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল বিমানবন্দর। তার পরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হতাহতের খবর এখনও জানা নেই। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।