×

জাতীয়

১৯ দিন পর জামিন পেলেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০১:১৯ পিএম

১৯ দিন পর জামিন পেলেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল

মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রবিবার জামিন পাওয়ার পর খুশি বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হাওলাদার ও মেয়ে। ছবি: ভোরের কাগজ

গ্রেপ্তার হওয়ার ১৯ দিন পর জামিন পেলেন মুন্সীগঞ্জের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এই শিক্ষককে জামিন দেন মুন্সীগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

পিনপতন নীরবতায় জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের আইনজীবী শাহীন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। সরকার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন অ্যাডভোকেট পল্টু। আদালতে জামিন নিয়ে ১৫ মিনিট শুনানি হয়েছে।

হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, জামিননামা আদালত থেকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছবে। কারা কৃর্তপক্ষ তা যাচাই করার পর হৃদয় মণ্ডল ছাড়া পাবেন। এ জামিনে ৫ হাজার টাকায় বন্ড নেয়া হয়।

হৃদয় মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হাওলাদার বলেন, আমি এখন অনেক খুশি। আমার ছেলে-মেয়েরা পিতা থাকা সত্বেও এতিম ছিল। আমরা চাই তার চাকরিতে যেন কোনো সমস্যা না হয়। আশা করি, তিনি আবার চাকরিতে যোগদান করবেন। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার দাবি করছি।

 এসময় গণমাধ্যমের ভূমিকা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ২৩ মার্চ তাকে আদালতে নেয়া হলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে গত ২৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এ আসামির জামিন আবেদন করা হলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ জামিন নামঞ্জুর করেন। জামিন নামঞ্জুরের পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবী মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিনের জন্য ফৌজদারি মিস মামলা করেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অজয় চক্রবর্তী জানান, গত ৪ এপ্রিল ফৌজদারি মিস মামলাটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করে জামিন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ঘটনা সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। কোনো এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন।

তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এর পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App