×

জাতীয়

হৃদয় মণ্ডলকে পরিকল্পতিভাবে ফাঁসানো হয়েছে: দাবি তার স্ত্রীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

হৃদয় মণ্ডলকে পরিকল্পতিভাবে ফাঁসানো হয়েছে: দাবি তার স্ত্রীর
হৃদয় মণ্ডলকে পরিকল্পতিভাবে ফাঁসানো হয়েছে: দাবি তার স্ত্রীর

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভেতরে শুনানি চলছে, বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে তা দেখার চেষ্টা করছে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মেয়ে। ছবি: ভোরের কাগজ

হৃদয় মণ্ডলকে পরিকল্পতিভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ববিতা হাওলাদার। রবিবার (১০ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জের স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের জামিন শুনানি আজ। ১৯ দিন ধরে কারাবন্দি এই বিজ্ঞান শিক্ষকের জামিন শুনানি হবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।

আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকে হৃদয় মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, তার এখানে বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসত। এতে অনেকে ক্ষুব্ধ হতো।

ববিতা হাওলাদার আরও বলেন, আমি চাই এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হোক। আমার স্বামীর সঙ্গে যা হয়েছে। ভব্যিষতে যেন আর কোন বিজ্ঞান শিক্ষকের সঙ্গে যেন এমনটা না হয় বিচার হওয়া উচিত।

ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ২৩ মার্চ তাকে আদালতে নেয়া হলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এ আসামির জামিন আবেদন করা হলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ জামিন নামঞ্জুর করেন। জামিন নামঞ্জুরের পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবী মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিনের জন্য ফৌজদারি মিস মামলা করেন।

[caption id="attachment_344171" align="aligncenter" width="700"] রবিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে হৃদয় মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হাওলাদার। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অজয় চক্রবর্তী জানান, গত ৪ এপ্রিল ফৌজদারি মিস মামলাটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করে জামিন শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ঘটনা সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। কোনো এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন।

[caption id="attachment_344174" align="aligncenter" width="700"] জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভেতরে শুনানি চলছে, বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে তা দেখার চেষ্টা করছে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মেয়ে। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এর পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App