×

স্বাস্থ্য

ডায়রিয়া পরিস্থিতি: আবহাওয়া শীতল না হলে রোগী বাড়তে থাকবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৮ এএম

ডায়রিয়া পরিস্থিতি: আবহাওয়া শীতল না হলে রোগী বাড়তে থাকবে

ফাইল ছবি

আগামী কয়েকদিন ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। আরও কিছুদিন ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া শীতল না হলে দেশজুড়ে ডায়রিয়া রোগী বাড়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম ভোরের কাগজকে বলেন, আবহাওয়া শীতল হলে বৃষ্টির পর ডায়রিয়ার সংক্রমণ কমে যাবে। কেন না গরম বাড়লে জীবাণু বেশি সক্রিয় হয়ে সংক্রমণ বাড়ায়। তাপমাত্রা বাড়লে পিপাসা পায়। বাইরে যত্রতত্র পানি বা পানীয় পানের প্রবণতা দেখা যায়। এসব পানীয় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

ওয়াসার পানির কারণে কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এ কথা মানতে রাজি নন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকীম এ খান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত পানির কারণেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও জানিয়েছেন একই কথা। দেশে হঠাৎ ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ার পেছনে পানিদূষণকে দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, পানিদূষণের কারণে ডায়রিয়া ও কলেরা বেশি হচ্ছে। এজন্য পরিবেশদূষণও দায়ী।

আইসিডিডিআরবির জরুরি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ মার্চ ১ হাজার ৫৭ জন, ১৭ মার্চ ভর্তি ১ হাজার ১৪১ জন, ১৮ মার্চ ১ হাজার ১৭৪, ১৯ মার্চ ১ হাজার ১৩৫, ২০ মার্চ ১ হাজার ১৫৭, ২১ মার্চ ১ হাজার ২১৬, ২২ মার্চ ১ হাজার ২৭২, ২৩ মার্চ ১ হাজার ২৩৩, ২৪ মার্চ ১ হাজার ১৭৬, ২৫ মার্চ ১ হাজার ১৩৮, ২৬ মার্চ ১ হাজার ২৪৫, ২৭ মার্চ ১ হাজার ২৩০, ২৮ মার্চ ১ হাজার ৩৩৪, ২৯ মার্চ ১ হাজার ৩১৭, ৩০ মার্চ ১ হাজার ৩৩১ এবং ৩১ মার্চ ১ হাজার ২৮৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ১ এপ্রিল ১ হাজার ২৭৪ জন, ২ এপ্রিল ১ হাজার ২৭৪ জন, ৩ এপ্রিল ১ হাজার ১৭১ জন, ৪ এপ্রিল ১ হাজার ৮৩ জন, ৫ এপ্রিল ১ হাজার ৩৭৯ জন, ৬ এপ্রিল ১ হাজার ১২২ জন আর ৭ এপ্রিল (রাত ৮ টা পর্যন্ত ) রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১১৬ জন। এদিকে ৬ এপ্রিল রাত ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার ১২২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ৫ তারিখ এই সময়ে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৩০ জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App