×

খেলা

আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪৯ পিএম

আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শুক্রবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হাটু গেড়ে আকাশে বল উড়াচ্ছেন এনামুল হক বিজয়

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) পারভেজ রসুলের বোলিং তোপে আবাহনী ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গেলে রবিউল ইসলামের অর্ধশতকে ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তুলে জয় পায় ইমরুল কায়েসের দল। আরেক ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪ রানে হেরে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫২ রানেই থেমে যায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত শেখ জামালের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। শুরুতে ব্যাট করতে নামা আবাহনীকে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন পারভেজ রসুল। তবে নাইম শেখকে নিয়ে ৩০ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে শুরুটি ভালোই করেন মুনিম শাহরিয়ার। কিন্তু আবাহনীর প্রথম তিন ব্যাটারই ডানহাতি অফস্পিনার রসুলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ওপেনার নাইম এইদিন সুবিধা করতে না পেরে দলীয় ৩০ রানেই পারভেজ রসুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৪ বল খেলে ৭ রান করেন তিনি। এর দুই রান পরই তিনে নামা স্বদেশী হনুমা বিহারীকে আউট করেন রসুল। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে সৈকত আলীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর দলীয় ৪৯ রানে আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারও ব্যক্তিগত ২৫ রান করে আউট হন রসুলের বলে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে  উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩০ বলে ২২ করে ফেরার পর আফিফ হোসেন ৫ বলে ২ করে আউট হলে ৮১ রানের মধ্যে ইনিংসের ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন জাকের আলি ও শামীম পাটোয়ারী। এই দুই জনের জুটিতে আসে ৫৫ রান। কিন্তু ১৩৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালে আবাহনীর বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। জাকের ৩২ করে আউট হওয়ার পর ফিফটি করে সাজঘরের পথ ধরেন শামীমও। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন শামীম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ব্যক্তিগত ৫ রানে রানআউট হন। শেষ পর্যন্ত তানভির ইসলামের অপরাজিত ১৫ রানের ফলে ৪৫.৪ ওভারে ১৭৭ রানেই থেমে যায় আবাহনীর ইনিংস। শেখ জামালের হয়ে মাত্র ২৯ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রসুল। এছাড়া ২৩ রানে ২ উইকেট শিকার সানজামুল ইসলামের ও রবিউল ইসলাম পান ১টি উইকেট।

মাত্র ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বিপদেই পড়ে শেখ জামাল। শুরুটা ভালো হলেও দলীয় ৪৪ রানেই ওভারের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় তারা। ব্যাট করতে নেমে সবাই রান পেলেও কেউই নিজের ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। ফলে ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৮ রান। সৈকত আলি ১৯, সাইফ হাসান ২৪, ইমরুল কায়েস ২৬, জহুরুল ইসলাম ২১ ও পারভেজ রসুল ১০ রান করে আউট হন। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে রবিউল ইসলাম রবি ও তাইবুল পারভেজ মিলে ৯.৪ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়ে শেখ জামালের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়  ৮৮ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রবিউল ইসলাম রবি। অন্যদিকে ২৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তাইবুর পারভেজ। আবাহনীর পক্ষে আফিফ হোসেন ধ্রুব নেন ২টি উইকেট। তানভির ইসলাম ১০ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। পারভেজ রসুল ২৯ রান ৫ উইকেট নেয়ার সুবাদে হয়েছেন ম্যচসেরা।

আরেক ম্যাচে মিরপুরে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মেহেদী মারুফের ১৮০ বলে ১৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১১৮ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে গাজী গ্রুপের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৫৬। এছাড়া আল-আমিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা।

২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ৮৫ ও অভিমন্যু ঈশ্বরণের ৫৭ রানের সুবাদে জয়ের খুব কাছে যেয়েও হেরেছে প্রাইম ব্যাংক। ২৪৪ রানে নবম উইকেট পড়লে ১৩ বলে ১৩ রান লাগত তাদের। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেন মাত্র ৮ রান। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫২ রান তুললে ৪ রানে হেরে যায় মোহম্মদ মিঠুনের দল। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হরের স্বাদ পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান হারাল এনামুল-নাসিররা। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান হুসনা হাবিব। শতক হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী মারুফ।

শুক্রবার জয় পেয়ে লিগের আট ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে শেখ জামাল। দুইয়ে থাকা প্রাইম ব্যাংকের ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে আবাহনী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App