×

জাতীয়

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা: দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১১:০১ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। সেইসঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা অন্য আসামি হলেন তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া নাজমুল আলম ও তার আত্মীয় আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

ফাঁসি বহাল রাখা দুই আসামি ছিলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয় মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামি) করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পরে, ২০০৮ সালের ২২ মে অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত আসামিরা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপশি আসামিরাও আপিল করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App