×

জাতীয়

গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১০:১৮ এএম

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের তিনটি কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কিছুটা বাড়বে। তবে সারাদেশে চলমান গ্যাস-সংকট কাটতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। বাকি তিনটি কূপ মেরামতেও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান।

তিনি জানান, বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রে মোট ২৬টি কূপ রয়েছে। ছয়টি কূপের পাইপলাইনে ময়লা জমে যাওয়ায় মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়।

শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার আরও জানান, একটি কূপ মেরামতের পর পুরোপুরি উত্তোলনের অবস্থায় এসেছে। আজ মঙ্গলবার আরও দুটি কূপের মেরামত কাজ সম্পন্ন হতে পারে। ফলে আজ মঙ্গলবার মোট তিনটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার রাত থেকে লাইনে গ্যাসের চাপ আরও বাড়বে। অপর তিনটি কূপ মেরামত করতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন। তাই পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনেক সময় কূপের লাইনের বিভিন্ন স্থানে ময়লা জমে যায়। আবার অনেক সময় লাইনে গ্যাসের পরিবর্তে বালু উঠতে শুরু করে। তখন খুব গুলো বন্ধ করে মেরামত করা হয। এটা নতুন কিছু না, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। বিভিন্ন সময় কূপের সঞ্চালন লাইনে মেরামত করা হয়েছে। গত রবিবারও সকাল থেকে ছয়টি কূপে মেরামতের কাজ শুরু হয়। এতে প্রায় কয়েক কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। গ্যাস সংকট যেন আরও প্রকট না হয় সেই চেষ্টা চলছে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র। এখান থাকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হলে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। ছয়টি কূপে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তাই জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমে সারাদেশে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এ গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, ছয়টি কূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাত থেকে গ্যাস সরবরাহ আরও স্বাভাবিক হবে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। কারণ অপর তিনটি কূপ মেরামতে সময় বেশি লাগবে। আগামী আর্ট এপ্রিল একটি এলএনজি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। জাহাজটি পৌঁছলে দুই দিন পর অর্থাৎ ১০ এপ্রিল থেকে জাহাজের গ্যাস খালাস করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। তখন গ্যাস সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক হবে।

এদিকে আজ মঙ্গলবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের সংকট আছে। লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় রান্নায় সমস্যা হচ্ছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি নিতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার গুলো পূর্ণ হতে। সোমবার রাতে ও রাজধানীর সব সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হয়।

রাজধানীর ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, রায়েরবাজার, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্লবী, মানিকদি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়িতে সকালের দিকে হালকা গ্যাস পাওয়া গেলেও বেলা ১১টা থেকে গ্যাসের দেখা মেলেনি। এসব এলাকার বাসিন্দাদের রোজা রাখার জন্য সেহেরি করতে এবং সন্ধ্যায় ইফতার করতে বাইরে যেতে হচ্ছে অথবা কিনে আনতে হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App