নতুন কমিশনের প্রথম নির্বাচন সময়ের মধ্যে না করতে পেরে প্রথমেই হোঁচট খেলো কাজী হাবিবুল আউয়ালের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের প্রথম সভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হচ্ছে বলে জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ সভা শেষ হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। যদিও আগামী ১৬ মে এ সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই নতুন নির্বাচন কমিশন প্রথম নির্বাচনই সঠিক সময়ে করতে ব্যর্থ হলো।

ইসি সচিব বলেন, চলতি মাসের শেষদিকে কমিশনের দ্বিতীয় সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০ জুনের মধ্যে এসব নির্বাচন করা হবে। যেহেতু কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। তাই ইভিএমের জন্য প্রস্তুতির বিষয় আছে। এর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এ নির্বাচন আগামী ২০ জুনের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যদিও কুসিকে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ১৭ মে। আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। সেই অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৬ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। সেদিক থেকে গত ১৬ নভেম্বর এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমানা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কিনা তা জানার জন্য গত ৭ মার্চ আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিই। এরপর ৩০ মার্চ আমার এ বিষয়ে আবারও চিঠি দিলে ৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় জানায়, এ সিটিতে নির্বাচন আয়োজনে আর কোনো বাধা নেই।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেখানে দায়িত্ব পালন মেয়র নাকি প্রশাসক বসবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেখবে।

দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। সেই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভূক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এ সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠনের পর থেকে মেয়র পদে রয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত নির্বাচনে এই সিটিতে ১০৩টি কেন্দ্রে ছিল আর ভোটার ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন।