×

জাতীয়

মোংলা বন্দর: অনিয়ম, দুর্নীতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০২:০৪ পিএম

মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়ার বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।

গত বছরের ৩ এপ্রিল বিলটি সংসদে ওঠানোর পর দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই বছরের জুনে কমিটি বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে। পরে সেপ্টেম্বরে বিলটি আবারও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। সেজন্য ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স- ১৯৭৬’ এর পরিবর্তে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, বন্দরের কোনো স্থাপনা নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বিধি অনুসারে ঠিকাদার হিসাবে নিয়োগ করা যাবে। আগের আইনে এটা ছিল না। বন্দর কর্তৃপক্ষ এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য টোল, রেট, ফি ও মাশুল সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া সম্পূর্ণ বা আংশিক মওকুফ করতে পারবে নতুন আইনে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ বন্দর সীমানা দূষিত করলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছর, অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা, অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড; পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন দুই লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

প্রয়োজনে দেশের যে কোনো স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করার সুযোগ রাখা হচ্ছে নতুন আইনে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার সুযোগ থাকছে।

বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দিলে ছয় মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।

এ আইনের অধীন যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টেও বিচারের সুযোগ থাকবে। এর ফলে বন্ধের পরিচালনায় স্বচ্ছতা আসবে, দুর্নীতি ও অনিয়ম কমবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App