×

অর্থনীতি

রমজানে বাজার তদারকিতে এফবিসিসিআই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০৫ পিএম

রমজানে বাজার তদারকিতে এফবিসিসিআই

শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। ছবি: ভোরের কাগজ

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, সরবরাহও স্বাভাবিক। তাই রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন এসব পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

শনিবার (২ এপ্রিল) এফবিসিসিআই আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তারা।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্যবিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৪৬টি পণ্য সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে কমিটির সদস্যরা। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর, সরবরাহ পরিস্থিতি, উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক দর সংগ্রহ ও পর্যালোচনা এবং সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করবেন এ কমিটির সদস্যরা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেন সভাপতি। এসময় জসিম উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে উৎসবকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কমান। বাংলাদেশেও এমন সংস্কৃতি তৈরির আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।

বিশ্ববাজারে বিভিন্ন কাঁচামাল ও পণ্যের দাম বেড়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি সরকারকে কর ও শুল্কহার সমন্বয়ের দাবি জানান। তিনি বলেন, যেহেতু পণ্যের দাম ও শিপিং খরচ বেড়েছে, তাই শুল্ক ও করহার কমালেও সরকারের রাজস্বের ঘাটতি কমবে না, বরং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়া যাবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম ও জাহাজ ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত ঋণসীমা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যমান চলতি মূলধন ঋণসীমা অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এফবিসিসিআই চিঠি দিয়েছে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। একই সঙ্গে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণখেলাপি না করার আহ্বান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন জানান, সরবরাহ ঠিক থাকলে বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। একই আশ্বাস দেন বাংলাদেশ পাইকারি ভৌজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা।

বাংলাদেশ অয়েল মিল অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, সেলস অর্ডারের ১৫ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহ করতে হয়। তাই মিল মালিকদের তেল মজুদ করে রাখার কোন সুযোগ নেই।

টি কে গ্রুপের পরিচালক সফিউল আথহার তাসলিম বলেন, গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর বাজার কারসাজির কারণে গোটা ব্যবসায়ী সমাজকে দায় নিতে হচ্ছে। তবে রমজানে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। মিল মালিকদের কাছে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে এবং বাজারেও কোন সরবরাহ ঘাটতি হবে না।

এসময় ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, উৎপাদক পর্যায়ে কোন সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দামবৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। এসময় তিনি ভোক্তাদের প্যানিক বায়িং না করার জন্য আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান করেন।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, হারুন অর রশীদ, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, এম জি আর নাসির মজুমদার, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), আবু হোসাইন ভূঁইয়া (রানু), ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, ড. জোশদা জীবন দেবনাথ, তাহমিন আহমেদ, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App