×

জাতীয়

দুই সিটির ৪ শতাংশের বেশি বাসায় এডিসের লার্ভা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৭ পিএম

দুই সিটির ৪ শতাংশের বেশি বাসায় এডিসের লার্ভা

প্রতীকী ছবি

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চার শতাংশের বেশি বাসায় এডিসের লার্ভা মিলেছে। ১০ দিনব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপের নবম দিন আজ শনিবার শেষে এমন তথ্য মিলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কতৃক পরিচালিত ১০ দিনব্যাপী রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি সাইটে কীটতাত্ত্বিক জরিপে সর্বমোট তিন হাজার বাড়ি সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

২১টি কীটতত্ত্ববিদের সম্মন্বয়ে গঠিত দল এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫২০টি বাড়ি পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১১৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি মিলেছে। সেই হিসাবে চার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা শনাক্ত হয়েছে। এ জরিপে একটি দল উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পরিণত মশা ধরার কাজে নিয়োজিত আছে। এ পরিণত মশা হতে ঢাকা কত ধরনের মশা আছে তা জানা যাবে। এছাড়া মশার মধ্যে কোন ধরনের জীবাণু আছে তা জানা যাবে।

আজ শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২৭ নং ওয়ার্ডে এসিড সার্ভের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো নাজমুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইকরামুল হক এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গভেষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা গবেষণা শেষে, মশার ঘনত্ব দিয়ে জিআইএস ম্যাপিং করবে। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কোন কোন অঞ্চলে মশার ঘনত্ব বেশি তা ম্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে, যা সিটি করপোরেশনের মশক নিধনের কাজে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক শতাব্দীতে জয়বায়ু পরিবর্তনের কারণে গড় তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়েছে। এর পাশাপাশি বৃষ্টির ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। সুতরাং মশাবাহিত রোগ যেমন- ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সব স্টেকহোল্ডারদের আন্তঃসম্পর্ক বাড়ানো, স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App