×

সাহিত্য

২৪ প্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আন্তর্জাতিক সম্মেলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৮ পিএম

২৪ প্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আন্তর্জাতিক সম্মেলন

শুক্রবার সকালে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথচলা: গণহত্যা, জাতিরাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে গবেষকরা। ছবি: ভোরের কাগজ

‘বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথচলা: গণহত্যা, জাতিরাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিশ্বে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেন দেশী-বিদেশী গবেষকরা।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথচলা: গণহত্যা, জাতিরাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এ আহ্বান জানান তারা।

তুরস্কের গবেষক আহমেত জোশকুনায়দিনের সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন ভারতের কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলঙ্কার রাধিকা হেত্তিয়ারাচ্চি, বাংলাদেশের চৌধুরী শহীদ কাদের। গণহত্যা জাদুঘরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি-কবি তারিক সুজাত।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, তুরষ্ক, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ সহ প্রায় ২৫ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক যোগ দিয়ে বাংলাদেশ, গণহত্যা এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর ২৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। মোট চারটি একাডেমিক সেশনে প্রবন্ধগুলো উপস্থাপিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে গণহত্যার জাদুঘর নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

তুর্কি সাংবাদিক আহমেত জোশকুনিয়াদ বলেন, স্বাধীন হওয়ার পরই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। সেখান থেকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। কিসিঞ্জারের সেই উক্তি উল্লেখ করে তাকে এখন বাংলাদেশে ঘুরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আহমেত জোশকুনায়দিন বলেন, আমি ২০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকতার সুবাদে ঘুরেছি। বাঙালিদের বদান্যতা ও আতিথেয়তা অবিশ্বাস্য। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিসিঞ্জারকে আহ্বান জানাচ্ছি, বাংলাদেশ কতটা সমৃদ্ধি অর্জন করেছে তা দেখে যান।

সম্মেলনে ভারতীয় গবেষক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চীন সাম্রাজ্যবাদ থেকে বাংলাদেশ কতটা দূরে থাকতে পারবে সেটা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনের পর শুরু হয় বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর ৭ম বার্ষিক সম্মেলন। বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন। সভাপতিত্ব করেন হেরিটেজ আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. মাহবুবর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চৌধুরী শহীদ কাদের। ইতিহাস সম্মিলনীর বিভিন্ন প্রাবন্ধিকরা এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে আমি মনে করি কোনও শিক্ষকের আন্দোলনে নামার দরকার নেই। তাদের দাবি যদি যৌক্তিক হয় সরকার এমনিতেই পূরণ করবেন। প্রতিবন্ধী স্কুল যারা চালান, তাদের কথা আমরা অবশ্যই চিন্তা করবো।

তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করেন, যারা প্রশাসন চালান তাদের জন্য ইতিহাস জ্ঞান আবশ্যক। নারী-বিদ্বেষীদের ভোট দিয়ে প্রগতি প্রত্যাশা করা যায় না। এছাড়া তিনি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণার সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় মুনতাসীর মামুন ইতিহাস ও শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App