×

জাতীয়

দেশীয় পর্নোগ্রাফিতে নারীবিদ্বেষ বেশি: গবেষণা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৫ এএম

দেশীয় পর্নোগ্রাফিতে নারীবিদ্বেষ বেশি: গবেষণা

প্রতীকী ছবি

তথ্যপ্রযুক্তির সমৃদ্ধির যুগেও দেশের ৫২ শতাংশ মানুষ গণমাধ্যম, চলচ্চিত্র বা অন্য কোনো পেশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কাজ করা কিংবা পুরুষ ছাড়া একাকী দূরে কোথাও ভ্রমণ করা ঠিক নয় বলে মনে করেন। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশীয় পর্নোগ্রাফিতে অশ্লীলতার চেয়ে নারীবিদ্বেষ অনেক বেশি থাকে।

এখানেই শেষ নয়, ৮১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নারীর খোলামেলা পোশাক পরা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা বা অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করা ঠিক নয়। তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে নারীকে হেয় করা হয়। যারা এমনটি মনে করেন, তাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ নারী ও ৪২ শতাংশ পুরুষ।

অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদেরও দোষ আছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজ বিস্তার এবং নারীর প্রতি সহিংসতা’ শীর্ষক গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়। এমজেএফের উদ্যোগে বেসরকারি সংস্থা ডি-নেট সারাদেশে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণার বিষয়ে ডিনেট ইনোভেশনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি দেখার হারও বেড়েছে। ৮১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, প্রচুর সংখ্যক কিশোর, যুবক ও পরিণত পুরুষ নারীর প্রতি অবমাননাকর কনটেন্ট নিয়মিত দেখে থাকেন। যেসব পর্নোগ্রাফিক আধেয় দেশীয়ভাবে তৈরি হয়েছে, সমাজে সেগুলোর প্রভাব খুব বেশি। আর এখানে দেশীয় পর্নোগ্রাফি অশ্নীলতার চেয়েও বেশি ব্যবহৃত হয় নারীকে নিন্দা, নির্যাতন ও অপমান করার জন্য।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন ‘খারাপ মেয়ে’ ‘খারাপ ছেলে’ অপেক্ষা অনেক বেশি বিপজ্জনক। সমাজে ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ মেয়ে আছে বলে বিশ্বাস করেন ৭৯ শতাংশ মানুষ। এই ৭৯ শতাংশ মনে করেন সমাজের অন্য মানুষকে ‘খারাপ মেয়ে’ অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া নারীদের অপমান করা বা নির্যাতন করা উপকারী বলে মনে করেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। মেয়েদের ভালো হতে বলা এবং তাদের নিরাপদে রাখা পুরুষের দায়িত্ব বলে মনে করেন ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে নারী রয়েছেন ৩৫ শতাংশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App