×

ভ্রমণ

‘বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসব আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২, ০৯:২৯ এএম

‘বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসব আজ

কক্সবাজার। ফাইল ছবি

‘বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসব আজ

বৃহস্পতিবার শুরু হবে বদলে যাওয়া কক্সবাজার উৎসব

‘বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসব শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার। দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান কক্সবাজারের চিত্র এক দশকে অনেকটাই পাল্টে গেছে। সাগর ছোঁয়া রানওয়ে। মুক্তার রঙে ঝিনুকের মতো রেল স্টেশন। অর্থনীতির গেম চেঞ্জার গভীর সমুদ্রবন্দরসহ আরও কত কি! দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে এ জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। ছোট-বড় ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি।

এই বদলে যাওয়া কক্সবাজারের সাফল্য তুলে ধরে আজ বৃহস্পতিবার (৩১) মার্চ সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসব। যেখানে তুলে ধরা হবে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা সংগ্রাম, ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশের ইতিহাস। জমকালো এই উৎসব গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[caption id="attachment_342648" align="aligncenter" width="700"] কক্সবাজার। ফাইল ছবি[/caption]

এদিন সৈকতের অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উৎসবটি আয়োজন করছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগ। বাস্তবায়ন করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন প্রেরিত অনুষ্ঠানমালার সূচিতে এ উৎসবকে দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, স্বাগত বক্তব্য, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন।

সকাল সাড়ে ১০টায় কবিতা আবৃত্তি করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা। এরপর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্ববোধক গান ও পল্লী সঙ্গীত, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীদের সংলাপ এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পরে স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে। বেলা পৌনে একটায় স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। অতিথিদের আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। এরপর রয়েছে স্থানীয় শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের স্বাগত বক্তব্যের পর ‘জোরশে চলো বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিটে স্থানীয় উন্নয়নের উপর উপস্থাপনা। এতে বক্তব্য রাখবেন, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ডা. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় উন্নয়নের সুবিধাভোগীদের বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বক্তব্য রাখবেন। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে ‘ও জোনাকি’ গানের ভিডিওচিত্র চিত্রায়ণ করা হবে। এরপর সাতটা ২০ মিনিটে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য ও সৈকতের আকাশ রাঙানো হবে হরেক রঙের আতশবাজিতে। সবশেষে মঞ্চ মাতাবেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ও চিরকুট। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, সমুদ্র সৈকতে যেহেতু উৎসবটি হচ্ছে এতে অনেক পর্যটকের সমাগম হবে। এজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বীচ কর্মী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App