গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষার্থীবান্ধব নয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় সমিতির নেতারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে মতামত দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ ও অনলাইন জরিপে মতামত দেয়া প্রায় শতভাগ শিক্ষক গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা না দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। অপরদিকে ২ জন শিক্ষক প্রক্রিয়া সংশোধন করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মতামত দেন। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধানের পথ উপস্থাপন করতে পারেননি তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা আরও বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। সময় ও আর্থিক হয়রানি বহুগুণ বেশি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। সাংস্কৃতিক মননশীলতা কোনভাবেই এখানে তৈরি হবে না। পনেরবার মেধাতালিকা প্রকাশ করার পরও প্রতিটি বিভাগেই আসন খালি রয়েছে। এতে সেশন জট লেগেই থাকবে। একজন শিক্ষার্থীর ব্যাপক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও একটি মাত্র পরীক্ষা খারাপ হলেই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ হারাচ্ছে। অত্যধিক সময় ব্যয় হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। সর্বোপরি গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের জন্য আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। এ সময় শিক্ষকদের দাবিকে আগ্রাহ্য না করারও দাবি জানান নেতারা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, শিক্ষার্থীরা সময় ও আর্থিক ভোগান্তিতে বেশি পড়েছে। ফলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। তাই এ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করা দরকার।

উল্লেখ্য, সাধারণ সভা ও অনলাইন জরিপে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক তাদের মতামত পেশ করেন।