রমজানেও নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২২, ০১:১৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়েছি। আসন্ন রমজানেও আশা করি, নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে ৬০.৭২ শতাংশ গমের দাম বেড়েছে, অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬.১৬ শতাংশ, পাম তেলের দাম ৩৫.৭১ শতাংশ, চিনির দাম বেড়েছে ৮.২৫ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ব বাজারে প্রায় সব কিছুর দাম বেড়েছে। ফলে দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ সবধরনের পণ্যের দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মূহুর্ত- দরিদ্র ভূমিহীন মানুষের মধ্যে ঘর তৈরি করে দেয়া। একজন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ একটা ঠিকানা পাওয়ার পর তাদের যে আনন্দ, তা দেখে আমার চোখে পানি এসে যায়। এটা আমার জীবনের একটা বিশেষ স্মরণীয় বিষয়।
কেননা আমার বাবা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকতে পারবে না। আমি সে কাজটি করে যাচ্ছি। এদেশে কেউ গৃহহীন থাকতে দেব না। সবাইকে আমি মাথা গোজার ঠাই করে দেব।
এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যাংক হতে গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনোমিক প্রসপেক্সস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈশিক মন্দা কাটিয়ে বিশ্বের যে কটি দেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
কোভিড-১৯ মহামারিতে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্তিমিত বা ঋণাত্বক হলেও আমাদের সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবার ফলে প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তারা কার্যকরী ব্যবস্থা নেবার ফলে অতিমারিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ৬.৪ এবং ৬.৯ শতাংশ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। একই সময়ে বৈশি্বক প্রবৃদ্ধি ৪.১ ও ৩.২ শতাংশ এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রবৃদ্ধি ৪.৬ ও ৪.৪ শতাংশ হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশি্বক মহামারি করোনায় দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা চারটি মূল কার্যক্রম নিয়েছি।
সেগুলো হলো- সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিলাসী ব্যয়কে নিরুৎসাহিত করে কর্মসৃজন ও উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনুরুৎজীবিত করা, শ্রমবাজারকে শক্তিশালী করা এবং উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া। সামাজিক সুরক্ষায় খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ হস্তান্তর ও দরিদ্রদের গৃহনির্মাণ করে দেয়া। এবং মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানো।
এছাড়া, রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠানসমুহের জন্য বিশেষ তহবিলসহ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরকে ক্যাপিট্যাল সুবিধা প্রধানসহ নানা মুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।