নেত্রকোণায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালতি রেস্টুরেন্টের দুই কর্মচারীর সংঘর্ষে ইসমাইল (১৯) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের বড় বাজার এলাকার রেস্টুরেন্টিতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্তোরাঁর অপর এক কর্মচারী আল মামুনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত ইসমাইল পৌর সদরের সাতপাই ছোট গাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। নিহত ইসমাইল ও তার মা কণা আক্তার এই রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ইসমাইল ও তার মা কণা আক্তার শহরের বড় বাজার এলাকার সালতি রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার বিকালে কণা আক্তার বাড়িতে চলে যায়। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে শশা কাটা নিয়ে হোটেলের দুই কর্মচারী মামুন ও ইসমাইলের মধ্যে এক পর্যায়ে কিল-ঘুষিসহ হাতাহাতি হয়।

এ সময় মামুনের কিল ঘুষিতে ইসমাইল মেঝেতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, ঘটনাটি রহস্যজনক, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আসল তথ্য বের করতে হবে।