ইউক্রেনের সঙ্গে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি বৈঠকে বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বুধবার (৩০ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইতিবাচক বিষয় হলো ইউক্রেনীয়রা অন্তত কাগজে-কলমে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এতদিনে অন্তত সেটা হাতে পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।

রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, বাকিটুকুকে আমরা বড় ধরনের অগ্রগতি বলতে পারি না। খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নয়।

২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়াকে ‘রাশিয়ার অংশ’ উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, রাশিয়ার কোনো ভৌগোলিক অঞ্চল নিয়ে কোনো ধরনের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা বৈঠক সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ।

ইউক্রেনের প্রস্তাবগুলো কী কী

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তিন ঘণ্টার বৈঠকে প্রথমবারে মতো ইউক্রেন লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাব বা শর্ত রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছে। এ প্রস্তাবগুলো হলো-

১. ইউক্রেন একটি ‘নির্জোট এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত’ একটি দেশ হবে যেখানে বিদেশ কোনো সামরিক ঘাঁটি বা সেনাদল থাকবে না।

২. এর বদলে ইউক্রেনের নিরাপত্তার ব্যাপারে শক্ত আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে। ইউক্রেনের ওপর কোনো হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, ফ্রান্স, ক্যানাডা, ইটালি, পোল্যান্ড ও ইসরায়েলের মত দেশগুলোকে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে ।

৩. যে কোনো হামলা শুরুর তিনদিনের মধ্যে এসব দেশকে বৈঠকে বসতে হবে ও ইউক্রেনের নিরাপত্তায় রক্ষায় অংশ নিতে হবে।

৪. ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে দিতে হবে।

৫. ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ২০১৯ সালে ইউক্রেনের সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে, ফলে কোনো পরিবর্তনে কয়েক মাস সময় লাগবে।

৬. আলোচনার মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সার্বভৌমত্ব নির্ধারিত হতে হবে, এবং সেই আলোচনা ১৫ বছর ধরে চলতে পারে। কিয়েভ বলেছে এ পরিস্থিতিতে এ সংকট নিরসনে কোনো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা।

৭. আগে ডনবাস উপত্যকায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে মুখোমুখি কথা হতে হবে।

৮. ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সব রুশ সেনাকে চলে যেতে হবে।