×

খেলা

শেখ জামালকে থামিয়ে মোহামেডানের টানা তিন জয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২, ১২:২৬ এএম

শেখ জামালকে থামিয়ে মোহামেডানের টানা তিন জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) সোমবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৬ ওভার বল করে ১ মেডেনে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহামেডান নাজমুল ইসলাম

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) সোমবার মাঠে নেমেছে ছয়টি দল। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নেয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেল মোহামেডান। নাজমুল ইসলাম অপুর দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে মোহম্মদ হাফিজ ও রনি তালুকদার অর্ধশত রান করেন। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৬ রানে হেরেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বৃষ্টিবিঘ্নিত আরেক ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ইউল্যাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নাইম ইসলাম ও চিরাগ জানির শতকে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ২৯ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গতকাল ভালো শুরু করতে পারেনি টানা চার ম্যাচ জয় পাওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নাজমুল ইসলাম, শুভাগত হোম, ইয়াসিন আরাফাত ও হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। প্রথম ওভারেই ওপেনার সৈকত আলীকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান নাজমুল ইসলাম। সৈকত আলি শূন্য, সাইফ হাসান ৩, ইমরুল কায়েস ১৫, জহুরুল ইসলাম ২ করে আউট হলে ২২ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে শীর্ষ চার ব্যাটারকে। এরপর ৬১ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপাকে পড়ে যায় দলটি।

অষ্টম উইকেটে সানজামুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তাইবুর রহমান ৭৪ রানের জুটি গড়লে বড় লজ্জা থেকে বেঁচে যায় দলটি। ৪৩ রান করে সানজামুল ফিরলেও তাইবুর ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। সবশেষ ৪৮ ওভারে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ধানমন্ডির ক্লাবটি। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম। এছাড়া অধিনায়ক শুভাগত, ইয়াসিন ও হাসান পেয়েছেন দুটি করে এবং মাহমুদউল্লাহ পান একটি উইকেট।

১৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় পায় মোহামেডান। ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানও ৭৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। কিন্তু ওপেনার রনি তালুকদার মাঠে থেকে লড়াই করে দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকের। দলীয় ১১৮ রানে আউট হওয়া রনি তালুকদার ৭৯ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। প্রথম তিন ম্যাচে ৪, শূন্য ও ২৮ রানে আউট হয়ে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও এ ম্যাচে করেছেন অর্ধশত। ৫৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলে জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে আউট হন এই বিদেশি তারকা। ষষ্ঠ উইকেটে আরিফুল-হাফিজ জুটি যোগ করেন ৭২ রান। এরপর আরিফুল আর শুভাগত মিলে সহজেই দলকে জয় এনে দেন। শেখ জামালের হয়ে একটি করে উইকেট পান পারভেজ রাসুল, সুমন খান, রবিউল ইসলাম রবি ও সাইফ হাসান।

৬ ওভার বল করে ১টি মেডেনে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাজমুল ইসলাম। বিকেএসপিতে আরেক ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৭ রান করে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিন নাম্বারে নামা ফরহাদ হোসেন। ৯৪ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৯২ করে সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হন এ ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক আকবর আলি ২৩ বলে ১টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পান আবু হায়দার রনি, সোহাগ গাজী ও নাইম ইসলাম জুনিয়র।

২৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের (১০৬) সেঞ্চুরির পরও খুব কাছে এসে মাত্র ৬ রানে হেরেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এছাড়া ধীমান ঘোষ ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। অধিনায়ক আশরাফুল আউট হয়েছেন শূন্য রানে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কাজী অনিক। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফরহাদ হোসেন।

বৃষ্টিবিঘ্নিত আরেক ম্যাচে ইউল্যাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৯ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে। টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার জাকির হাসানের ৯২ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৪ রান করে রূপগঞ্জ টাইগার্স। এ ম্যাচের আগে দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাইম ইসলাম (১১৪) ও চিরাগ জানির (১২২) শতকে ৪৩ ওভারেই ২৫৭ করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে টার্গেট ২২৯ রানে নেমে এলে ২৯ রানে জয় পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ম্যাচসেরা হয়েছেন চিরাগ জানি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App