×

জাতীয়

শিক্ষার মান নিয়ে সংসদে এমপিদের ক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২, ০২:৪৭ পিএম

শিক্ষার মান নিয়ে সংসদে এমপিদের ক্ষোভ

জাতীয় সংসদ/ ফাইল ছবি

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। নিয়োগ বাণিজ্য মানহীন শিক্ষাব্যবস্থায় জাতি ক্রমাগত অবনমন হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার বিরোধিতা করে কথাগুলো বলেন, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, আজকের এ বিল নিয়ে আমরা ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস করলাম। কিন্তু প্রকৃত আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার অভাবে বেকারত্বের হার তো বেড়েই চলেছে বৈ কমেনি।

একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে এমএ পাস বেকারের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ, বিএ পাস বেকার ৩৭ শতাংশ এইচএসসি ২৭ শতাংশ, এসএসসি পাস করা বেকারের সংখ্যা ২৮ শতাংশ। দেশে মোট শিক্ষিত বেকারের ৬৬ শতাংশের ওপরে শিক্ষিত বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ নিজ উদ্যোগে কিছু কাজ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। আর সারাদেশে যত শিক্ষিত বেকার আছে তার ২১ শতাংশ মাত্র চাকরি পেয়েছে। পরিসংখ্যাণ বলছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ করা শিক্ষিতের মধ্যে ৬৬ শতাংশই বেকার। তারা নিম্নমানের কাজ করতে চায় না। অথচ এরা বিদেশে গেলে যে কোন কাজ করে অর্থ উপার্যন করছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এ ধরনের মানষিকতা সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।

হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে শিক্ষার গুণগতমান একেবারে ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজগুলোতে গত ১০ থেকে ১৫ বছরের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি, অর্থ লেনদেন হচ্ছে। সম্প্রতি দপ্তরি-ঝাড়ুদার নিয়োগেও পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়োগ-বাণিজ্য হয়েছে বলে দাবি করেন হারুন। তিনি গতানুগতিক শিক্ষা বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর অনুরোধ করেন।

ফখরুল ইমাম বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইচ্ছেমতো আর্থিক ব্যবস্থাপনা চালায়। এটি বন্ধ করতে না পারলে দুর্নীতি বেড়ে যাবে, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নীতিমালা করা উচিত। দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ না হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, শিক্ষা বাণিজ্য বেড়ে যাবে।

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমাদের স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগুলো খুবই সুন্দর। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মবিমুখ। শিক্ষকরাও তেমনভাবে প্রশিক্ষিত নয়। স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব ছেলেমেয়েরা বের হচ্ছে তারা অধিকাংশই বেকার হয়ে ঘুরছে। তিনি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানান। স্কুল-কলেজের গভর্নিং বোর্ডে এমপিদের সংযুক্তি নিয়ে কোর্টে যে মামলা চলমান সেই বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য আইনজীবী নিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নির্ণয়ে ইউজিসি দিয়ে একটি সমীক্ষা করা উচিৎ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App